বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ইমিরেটাস নিয়োগের ক্ষেত্রে একই বিভাগে ২০ বছর অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকার যোগ্যতা-সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, রিটকারী অধ্যাপক এমএ সাত্তারকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস।
হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩০৭তম সিন্ডিকেট অধিবেশনে ইমিরেটাস অধ্যাপক নিয়োগ-সংক্রান্ত নীতিামালা গৃহীত হয়। বিধিমালা অনুযায়ী সেই নীতিমালার বিধি ২ (খ) বিধি অনুযায়ী ইমেরিটাস নিয়োগের জন্য একই বিভাগে ২০ বছর অধ্যাপক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে একই বিভাগে ৩৫ বছর চাকরি করতে হবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ইমিরেটাস প্রফেসর নিয়োগ নীতিমালার। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ১৯৮৯ সালের ইমিরেটাস নিয়োগ বিধিমালার নীতিমালার ১(গ) বিধি অনুযায়ী নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে ১০ বছর অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকতে হবে। তাছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও ২০ বছর অধ্যাপক থাকার বিধান নেই।
Advertisement
তিনি জানান, বাকৃবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এমএ সাত্তার এই বিধিমালার কারণে ইমিরেটাস হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হননি। কারণ তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে ১০ বছর ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ১২ বছর অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই অনুষদভুক্ত হলেও আলাদা বিভাগ হওয়ায় তিনি ইমিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগে বিবেচিত হননি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় বিধিমালার ২ (খ) বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে ও তার ইমিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে শুনানি করে একই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে ২০ বছর ও পূর্ণকালীন ৩৫ বছর কর্মের অভিজ্ঞতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে অধ্যাপক এমএ সাত্তারকে কেন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এফএইচ/জেএইচ/পিআর