২০ বছর পর সেন্সর পেল মাসুম আজিজের সিনেমা

শুধু মঞ্চ নয়, টেলিভিশন ও বড় পর্দার জনপ্রিয় মুখ মাসুম আজিজ। তিনি শুধু অভিনেতা নন নির্মাতাও। নতুন খবর হলো ২০ বছর পর সেন্সর পেয়েছে মাসুম আজিজ পরিচালিত সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘সনাতন গল্প’। না, এতো বছর সেন্সরে আটকে ছিল না ছবিটি। এর নির্মাণ শুরু হয়েছিল কুড়ি বছর আগে। ১৯৯৭ সালে ‘সনাতন গল্প’ নামের সিনেমা নির্মাণ শুরু করেন তিনি। ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটির কাজ এগোয়নি নানা জটিলতার কারণে। সেই ছবি এবার সেন্সর ছাড় পেয়েছে।

সেন্সর বোর্ডের সচিব মুন্সি জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বুধবার সিনেমাটির ছাড়পত্রটি সাক্ষরিত হয়েছে। ৯ এপ্রিল ছবিটি সেন্সর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেন্সর পেয়ে এখন মুক্তির অপেক্ষায় ‘সনাতন গল্প’।

ছবিটির জন্য অনুদান দেওয়া হয় ১১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জাগো নিউজকে মাসুম আজিজ বলেন,‘আমি অনুদান পাওয়ার পরেই ছবির শুটিং শুরু করেছিলাম। সিনেমাটির ২৫ ভাগ দৃশ্যায়নের পর প্রশাসনিক ও আর্থিক জটিলতার কারণে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। তখন সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন শমী কায়সার, তৌকীর আহমেদ, নাজমা আনোয়ার, শহীদুল আলম সাচ্চু ও ফজলুর রহমান বাবু। মাঝে অনেক চেষ্টা করেও আর্থিক কারণেই শুটিং করতে পারিনি। আগে যাদের নিয়েছিলাম তাদেরও আর রাখতে পারিনি।’

মাসুম আজিজ জানালেন, ‘২০১৬ সালে ছবির অনুদানের টাকা পেয়েছেন তিনি। অনুদান পাওয়ার এতো বছর পরেই হাতে আসে সেই ১১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যেই ছবির শুটিং শেষ করতে হয়। ২০১৭ সালে এর দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়। আগের অভিনয়শিল্পীরা এতে আর অভিনয় করেননি। সিনেমাটির প্রধান তিন চরিত্র সাধু, সনাতন ও লক্ষ্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যথাক্রমে উৎস ও মাসুম আজিজ নিজেই। এ ছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সাদিয়া জামান, জয়রাজ, তুষার মাহমুদ প্রমুখ।

সিনেমার কলাকুশলী প্রসঙ্গে মাসুম আজিজ বলেন,‘অল্প বাজেটের কারণে ছবিতে তেমন কোনো তারকা নেই। আমি আমার স্ত্রী সাদিয়া জামান, ছেলে উৎস। অভিনয় করেছি। আমার ছবির কোনো প্রোডাকশন বয়ও ছিল না। সব কিছুই নিজেই সামলিয়েছি। অবশেষে ছবিটি হলো এটাই আশার কথা। শিগগিরই মুক্তি পাবে ছবিটি।’

একটি নৌকা নির্মাণ করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন মিস্ত্রীরা। তাদের নৌকা নির্মাণ এবং সাধু, সনাতন ও লক্ষ্মীর ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়েই এগিয়েছে ‘সনাতন গল্প’ সিনেমার কাহিনি।

এমএবি/এলএ/এমএস