সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ‘সুনির্দিষ্ট ঘোষণা’ চান। অন্যথায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
Advertisement
আন্দোলনকারীদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেছেন, আমরা কারো কথায় বিশ্বাস করি না। ইতোমধ্যে অনেকে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বুধবার দুপুরে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকরিতে সকল কোটা বাতিল করবেন। তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ আশ্বাসের পর কোটা সংস্কারের আন্দোলন আর চলার কোনো যোক্তিকতা থাকে না।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এমন তথ্য জানানো পর আন্দোলকারীদের পক্ষ থেকে উপরোক্ত কথা জানানো হয়। রাশেদ খান আরও বলেন, আমরা শতভাগ কোটা বাতিল চাই না। কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে হবে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরির সব কোটা তুলে দিচ্ছেন এবং আজ সংসদে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে -সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক এমন তথ্য জানানো পরও কোটা সংস্কার চেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জড়ো হয়ে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল, স্যার শলীমুল্লাহ মেডিকেল, ডা. শিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজসহ বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আন্দোলন করছেন। এছাড়া একই দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এমএইচ/আরএস/এমএস
Advertisement