কৃষি ও প্রকৃতি

পেঁপে চাষ করে সফল তাপস

ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে এখন বেশ জনপ্রিয়। শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য একসময় বাড়ির আঙিনায় চাষ করা হতো ফলটি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মেহেরপুরে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে পেঁপের। গাংনী উপজেলার ঢেপা গ্রামের রেজ-আন-উল-বাসার তাপস লাভবান হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন পেঁপে চাষে।

Advertisement

সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য পেঁপে। গত ৭ মাস ধরে গাছ থেকে পেঁপে তুলে বিক্রি করলেও গাছের পেঁপে যেন শেষই হচ্ছে না। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঢেপা গ্রামের রেজ-আন-উল-বাসার তাপস গড়ে তুলেছেন এই পেঁপে বাগান। তাঁর বাগানে যশোরের গদখালী জাতের পেঁপে চাষ করা হয়। ৭ বিঘা জমিতে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। সাত মাসে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন।

এ বছর আরও ১০ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষের স্বপ্ন দেখছেন তাপস। বর্তমানে পেঁপে চাষে তাপস হয়ে উঠেছেন মেহেরপুরের মডেল। আরও দুই বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা যাবে বলে জানান তিনি। তার সফলতা দেখে গ্রামের অন্যরাও পেঁপে বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তাপস জানান, মাকড়সা ও ছত্রাক ছাড়া পেঁপে বাগানে তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলে ফেলা যায়। পেঁপে চাষে অর্থনৈতিকভাবে সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের অনেক বেকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি চাষে অগ্রসর হয় তাহলে তারাও লাভবান হবে।

Advertisement

ঢেপা গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, তাপস শিক্ষিত ছেলে। সে হঠাৎ করেই মাঠে পেঁপে চাষ শুরু করে সফল হয়েছে। তার চাষ দেখে আমাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই পেঁপে চাষ করার পরিকল্পনা করছে।

সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেম ও তপন হোসেন বলেন, ৩ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। চাহিদা ভালো থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসছেন। এখান থেকে পেঁপে কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. আকতারুজ্জামান বলেন, পেঁঁপেতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পেঁপে চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। জেলায় এবার ২৩ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে।

আসিফ ইকবাল/এসইউ/জেআইএম

Advertisement