‘ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)’ প্রকল্পকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) প্রথম এবং পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
Advertisement
এর আগে গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এবং ১৪ নভেম্বর ৬৮তম সিন্ডিকেট সভায় ইনস্টিটিউট হিসেবে ইপনাকে অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় শিশু স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতারের নেতৃত্বে ২০১০ সাল থেকে সেন্টার ফর নিউরো ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অটিজম ইন চিলড্রেন (সিন্যাক) নামে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়।
২০১৪ সালের জুলাই থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম ইন বিএসএমএমইউ’ প্রকল্প গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও ইউজিসির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল।
Advertisement
ইপনা পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের মাধ্যমে ইপনার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। এখন থেকে অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে। জাতীয় পর্যায়ে ইপনাই প্রথম ইনস্টিটিউট যেখানে স্নায়ু বিকাশজনিত ও অটিজম সমস্যার সমন্বিত সেবা দেয়া হয়ে থাকে।
ইপনার আওতায় ৩০ বেডের শিশু নিউরোলোজি হাসপাতাল, দৈনিক গড়ে ১০০ রোগীর সেবা প্রদান উপযোগী আউটডোর এবং ৫০ আসনের অটিজম স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে শিশু নিউরোলোজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াও চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট থেরাপিস্ট, সাইকোলোজিস্ট, কাউন্সিলর, নিউট্রিশনিস্টসহ মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছেন।
এ ছাড়াও দেশব্যাপী ডাক্তার, অভিভাবক, শিক্ষক ও অন্যান্য পেশার লোকদের জন্য স্নায়ুবিকাশ জনিত সমস্যা ও অটিজম সম্পর্কিত তথ্য ও জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে ইপনা নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করে আসছে।
উল্লেখ্য, ইপনা জাতীয় পর্যায়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং ভালো সেবা প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে।
Advertisement
এমইউ/এএইচ/আরআইপি