খেলাধুলা

সাকিব যেভাবে জেতালেন হায়দরাবাদকে

গত মৌসুমগুলোতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বেশিরভাগ সাফল্যই এসেছে বোলারদের হাত ধরে। চলতি মৌসুমে সাকিব আল হাসানের মতো একজন অলরাউন্ডারকে দলে ভিড়িয়ে সেই বোলিংকে আরও বেশি শক্তপোক্ত করেছে হায়দরাবাদ। নতুন ঠিকানায় নিজের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি একটি দলে কতটা প্রভাব রাখতে সক্ষম।

Advertisement

৪-০-২৩-২, টি-টোয়েন্টি ফরমেটে যে কোনো বোলারের জন্যই এমন ফিগার ঈর্ষণীয়। তবে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে সাকিবের সোমবারের পারফরম্যান্সকে শুধু এই একটি ফিগারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার উপায় নেই।

ঘরের মাঠে ইনিংসের মাত্র চতুর্থ ওভারেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পাওয়ার প্লে'তে টানা দুই ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দেন সাকিব। ম্যাচে তার বোলিং ইকোনমি ছিল ৬.১৩, যা কিনা রাজস্থানের পাওয়ার প্লের পর ব্যাটিং (প্রতি ওভারে আটের উপরে) ইকোনমির চেয়ে অনেক কম।

এরপর ইনিংসের ১৪তম ওভারে সাকিব যখন শেষবারের মতো বল হাতে নেন, এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন রাজস্থানের দুই ব্যাটসম্যানকে। দলের রানরেটও তাতে নেমে যায় (৭.০০)। বাংলাদেশি স্পিনারের ফ্লাইট আর স্কিডি ডেলিভারি, সঙ্গে লাইন লেন্থ বজায় রাখা বোলিংয়ে হাত খুলে খেলতে পারেননি রাজস্থানের ব্যাটসম্যানরা।

Advertisement

লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, সাকিব কিন্তু তার ওভারগুলো শেষ করেছেন রাজস্থানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানে, সঞ্জু স্যামসন, রাহুল ত্রিপাথি আর জস বাটলারের বিপক্ষে। তাদের মধ্যে দুই ব্যাটসম্যানের আইপিএল ক্যারিয়ারে স্ট্রাইকরেট আবার ১৪৪ এর উপরে।

১৪তম ওভারের এসে চার বলের ব্যবধানে রাজস্থানের দুই ব্যাটসম্যান স্যামসন আর ত্রিপাথিকে তুলে নিয়েছেন সাকিব। এতে ৩১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় রান গড়ার স্বপ্নটা আর পূরণ হয়নি রাহানের দলের।

এমএমআর/এমএস

Advertisement