অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কোটা থাকতেই হবে। তবে কত শতাংশ থাকবে সেটা আলোচনার বিয়ষ। এখন কোটার শতাংশ অনেক বেশি। এটা সংস্কার হওয়া উচিত।
Advertisement
মঙ্গলবার ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) নগদ লভ্যাংশ প্রদান অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কোটা থাকতেই হবে তবে কত শতাংশ থাকবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কোটা থাকার কারণ হচ্ছে যারা পশ্চাৎপদ। তাদের টেনে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এটা নিয়ে আজীবন ধরে যুদ্ধ করেছে, আমরা পশ্চাৎপদ ছিলাম কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি। তাই পশ্চাৎপদের একটু সুযোগ দিতে হবে।
‘তবে এখন যেটা হয়েছে সেটা বোধ হয় একটু বেশিই হয়ে গেছে। এটা সংস্কারের উচিত। এ বিষয়ে এক মন্ত্রী আমাকে বলেছে যে, সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, বাট আমাদের কন্ট্রিবিউশন যেটুকু দরকার সেটুকু দেয়া হবে।’
Advertisement
তিনি বলেন, কোটা থাকবে তবে এমন কিছু করা উচিত নয় যে সাধারণরা কিছুই পাবে না। এখন যেমন আছে, মুক্তিযোদ্ধা নামে একটা বড় কোটা আছে। অনেক ক্ষেত্রে এ কোটায় লোক পাওয়া যায় না। তাই এ কোটা পূরণ হয় না, সেখানে অন্যদের নেয়া যাবে।
কোটার এক তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পোস্টের জন্য টোটাল মেধা কোটা হচ্ছে ৪৫ শতাংশ। মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা না পাওয়া গেলে তাদের পুত্র-কন্যার জন্য ৩০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। অবশিষ্ট (জেলার সাধারণ প্রার্থীদের) জন্য মাত্র ১০ শতাংশ।
এ কোটা ব্যবস্থাটা ঠিক নয়। এটা সংস্কার করতে হবে। আমিও সেই উপদেশ প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছি যে, আমার মন্ত্রণালয়ে সেটা রি-এক্সামিন করবো আগামী বাজেটের পর।
এ সময় আইসিবি’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ, মানিক চন্দ্র দে, সালমা নাসরিন, যুগ্ম সচিব মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি/এমএস