ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৬টি স্থান ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। দেখা দিয়ে দিয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও পানীয় জলের অভাব। বাঁধের আরো কয়েকটি স্থানে নতুন করে ভাঙন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোসাদ্দেক হোসেন ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আসেন।জানা যায়, মুহুরী নদীর সাহপাড়া ২০ মিটার ও উত্তর দৌলতপুরে ৩০ মিটার ও কহুয়া নদীর বৈরাগপুরে ৩০ মিটার এলাকার পর নতুন করে উত্তর জগৎপুর, শ্রীচন্দ্রপুর ও দক্ষিণ জগতপুরে এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এ নিয়ে দুই নদীর ৬টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। শাহাপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, বৈরাগপুর, পশ্চিম ও উত্তর ঘনিয়ামোড়া, বরইয়া এবং পাশের ছাগলনাইয়া, পরশুরাম উপজেলার ট্যাটেশ্বর গ্রামসহ অন্তত ২৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।এছাড়াও ভারী বর্ষণে মুহুরি ও কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জয়পুর ও জগতপুর এলাকায় বাঁধের ২টি স্থান যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বলে জানায় স্থানীয়রা।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, বন্যার পানি কমার পর সংস্কার কাজ শুরু হবে।জহিরুল হক মিলু/ এমএএস/এমআরআই
Advertisement