কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সোমবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরোধিতা করে আন্দোলনকারীদের রীতিমতো তুলোধুনা করেন। বক্তব্যের একটি অংশে তিনি বলেন, ‘যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রাখেন, পৃথিবীর সব দেশে তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?
Advertisement
তার দেয়া বক্তব্যের বিভিন্ন অংশ আপত্তিকর মনে করে ওই বক্তব্য প্রত্যাহারে ও ক্ষমা চাওয়ার জন্য তাকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার না করা হলে আবার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সামনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান। এ সময় তিনি বলেন, ভিসির বাসভবনে হামলাকারীরা বহিরাগত এবং এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি হামলাকারী পুলিশের শাস্তি ও ক্ষতি পূরণের দাবি জানান তিনি।
আন্দোলনের নতুন কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, যারা নতুন কমিটি করেছে তারা স্বার্থ হাসিলের জন্যই এ কমিটি করেছে। আমাদের ব্যানার ব্যাতীত কেউ যদি অন্য ব্যানারে আন্দোলন করে তাদের আমরা প্রতিহত করব।
Advertisement
তিনি বলেন, বিকেল ৫টার মধ্যে মতিয়া চৌধুরী বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা না চাইলে আমরা সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবো।
আন্দোলনকারীদের দাবি, আগামী তিন দিনের মধ্যে কোটা সংস্কার করতে হবে, মতিয়া চৌধুরীকে ক্ষমা চাইতে হবে, ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের বিচার করতে হবে।
গতকাল ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের যে ঘোষণা এসেছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী এই শিক্ষার্থীরা সন্দেহ করছেন, এক মাস পর রমজান শুরু হবে ও বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে। তাই এই এক মাস সময় দেয়া হলে তাদের দাবি পূরণ হবে না ও আন্দোলন স্থিমিত হয়ে যাবে।
এমএইচ/এআর/জেইউ/এনএফ/জেআইএম
Advertisement