ক্যাম্পাস

আন্দোলনে বন্ধ শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশনে ফিরেছে

কোটা সংস্কার ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৫ ঘণ্টা ধরে রেল লাইন অবরোধ করে রেখেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। এতে করে সকাল ১০টার পর থেকে চলাচল করেনি কোনো শাটল ট্রেন। এদিকে রেল লাইন অবরোধ থেকে সরে না এলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ার দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মো. আব্দুল ওয়ারিশ এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ছাত্রদের বিশৃঙ্খলা না করতে বলা হয়েছে। তারা সরে না এসে বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা নেয় হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে সকাল থেকে একাধিকবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবরোধ তুলে নিতে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করেন। তা প্রত্যাখান করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকম্পিত ষোলশহর স্টেশন চত্বরে ‘শাহবাগে হামলা কেন? প্রশাসন বিচার চাই; আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না; যতদিন রবে কোটা, ততোদিন দিব খোটা এ রকম নানা স্লোগানে মুখর শতাধিক শিক্ষার্থী। আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক নারী শিক্ষার্থীও প্রখর রোদে দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকতে দেখা যায়। দুপুর দেড়টায় বিক্ষোভ সমাবেশে এক শিক্ষার্থী কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে আন্দোলনে অংশ নিতেও দেখা যায়। সমাবেশ থেকে দাবি আদায় না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

এর আগে বেলা ১২টায় একই দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তবে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধ তারা সেখান থেকে সরে আসে। অপরদিকে, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ৯০ জন শিক্ষার্থী পূর্ব নির্ধারিত ৩০৫নং কোর্স পরীক্ষা বর্জন করে মিছিল করে। তবে বর্তমানে ক্যাম্পাসে অবস্থা শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোর্শেদ রিপন।

এদিকে নিরাপত্তা জনিত কারণে ষোলশহরে স্টেশনে সকালে অবস্থান করা শাটল ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে ফিরে গেছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় রুটে শাটল চলাচল বন্ধ থাকার কথাও জানান ষোলশহর স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিন।

আবদুল্লাহ রাকীব/আরএ/পিআর

Advertisement