জাতীয়

রাজীবের ‘ফিজিক্যাল বিহেভিয়র’ ভালোর দিকে

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো রাজীবের ‘ফিজিক্যাল’ অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মো. সামসুজ্জামান।

Advertisement

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাগো নিউজকে এমন তথ্য জানান বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক।

তিনি বলেন, আজ সকালে আমরা তার শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছি। সে চিকিৎসকদের সঙ্গে মোটামুটি কথা বলছে। তাতে মনে হয়েছে, তার ফিজিক্যাল বিহেভিয়র ভালোর দিকে।

তিনি আরও বলেন, আজ সে মোটামুটি খাবার খাচ্ছে। চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন তাকে মানসিকভাবে শক্ত করার জন্য। ইতোমধ্যে সে জেনে গেছে তার হাত নেই। এটা জানার পর মেন্টালি শক খাওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসকরা শক্ত মানসিকতার জন্য তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন।

Advertisement

রাজীবের খালা হ্যাপী আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, সে এখনও আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করলে শুধু বলে ‘হুম’। এছাড়া আজ যখন তাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয় তখন সে খেতে চাচ্ছিল না। জানতে চাইলে বলে, পেটে ব্যাথা। আর কিছু বলেনি।

গত মঙ্গলবার বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন (২১)। হাতটি বেরিয়ে ছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার বা ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিকে গা ঘেঁষে পড়ে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি।

ওই ঘটনার পর দুই বাসচালককে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, রাজীব হোসেনের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে বলে ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সুস্থ হলে তাকে সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দেন মন্ত্রী।

এছাড়া রাজীব হোসেনের চিকিৎসা ব্যয় ওই দুই বাস মালিককে বহন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

Advertisement

এসএইচ/এমএআর/পিআর