আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কারপন্থী আন্দোলনকারীরা। পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করার অনুরোধ জানিয়েছে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
রাজধানীর শাহবাগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ এখনও চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থীকে।
এই মুহুর্তে চারুকলা ও ছবিহাটের মাঝের সড়কে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় টায়ার পোড়াচ্ছে। পুলিশ টিয়ারসেল ছুঁড়ছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে আগুন জালাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। পুলিশ থেকে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব ৫০ গজ।
কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আরেকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ডিএমসি) নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
রাত ১১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। চারুকলা থেকে টিএসসি পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। পুলিশ চারুকলা গেটের সামনে থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর এ একে এম গোলাম রব্বানি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে পিছিয়ে যেতে বলেন। তিনি পুলিশকে ঢাবি সীমানা থেকে ফিরিয়ে আসতে বলেন। তবে পুলিশ যখন পিছিয়ে যাচ্ছিল তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশ আবারও তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও দুই গাড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই শতাধিক পুলিশ পাবলিক লাইব্রেরির গেটের সামনে অবস্থান নেয়। শাহবাগের চারুকলা থেকে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সড়কে বসে স্লোগান দিচ্ছে, বুলেট দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গুলি দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না।ওআর/এমআরএম