জাতীয়

গাড়ি আছে চালক নেই

সন্ধ্যা ৬টা। পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্ত যাচ্ছে। রাজধানীর কাঁটাবন মোড় থেকে শাহবাগ ওভারব্রিজ পর্যন্ত সারি সারি বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও রিকশা থমকে দাঁড়িয়ে আছে। বিকেল পৌনে ৩টা থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে গাড়ি সামনে এগুতে পারছে না। ফলে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় যাবত শাহবাগের চারপাশে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন গাড়ির চালক রাস্তায় গাড়ি রেখে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। যাত্রীদের অনেকে ঘণ্টাখানেক গাড়িতে থাকলেও অবরোধ প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণ না দেখে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্য ছুটছেন।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন প্রাইভেটকারের মালিক-চালকরা। রাজধানীর আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালের এক চিকিৎসকের স্ত্রী নাজমা বেগম দুই ঘণ্টা শাহবাগ ওভারব্রিজের নিচে বসে থেকে চালককে রেখে হেঁটে মোহাম্মদপুরের বাসায় রওনা হন।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আনিস নামের ওই চালক বলেন, তিন ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, কখন যে অবরোধ প্রত্যাহার হবে। এভাবে রাস্তা আটকে রেখে সাধারণ মানুষকে কষ্টা দিচ্ছে অথচ পুলিশ কিছুই বলছে না। কখন যে বাসায় ফিরতে পারবো আল্লাহই জানেন।

Advertisement

রাস্তার মাঝখানে রিকশা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন লালবাগের রিকশাচালক চান মিয়া। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, দুপুর ২টায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন। মাত্র ২৫ টাকার ভাড়ায় এক যাত্রীকে নিয়ে আসেন বিএসএমএমইউতে। এসেই ফেঁসে গেছেন। রাত পর্যন্ত অবরোধ থাকলে জমার টাকাও তুলতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

অবরোধের কারণে বিএসএমএমইউ ও বারডেম হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে রোগীর স্বজনরা চরম বিপাকে পড়েন। তাদের অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে হাসপাতালে আসতে হয়। রাস্তা অবরোধের প্রভাব পড়েছে শাহবাগের ওষুধের দোকানেও। দোকানীরা জানান, অন্যান্য সাধারণ দিনের তুলনায় বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

এমইউ/বিএ/জেআইএম

Advertisement