গাজীপুর সদরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ১১ জনের সাজা বহাল রাখার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি আবারও পিছিয়ে আগামী ২০ মে পরর্বতী দিন ঠিক করা হয়েছে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
Advertisement
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এই আপিলের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন শুনানি না করে তা পিছিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন আদালত। আজ রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আবারও তা পিছিয়ে ২০ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন ।
২০১৬ সালের ২০ জুন সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ১১ জনের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
Advertisement
খালাস পাওয়া ১১ আসামিরা হলেন- আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।
২০১৬ সালের ১৫ জুন আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। অপরদিকে একই মামলায় অপর ১১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে বিএনপি জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ৭ মে দুপুরে একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে টঙ্গী থানায় মামলা করেন।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement