চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ৩৮ টাকা কেজি চাল ও ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া আতপ চাল ৩৭ টাকা কেজি দরে সংগ্রহ করা হবে। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি এ সব ধান ও চাল কিনবে সরকার।
Advertisement
রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে চলের উৎপাদ খরচ ৩৬ টাকা। কিন্তু কৃষকদের উৎসাহীত করতে আরও দুই টাকা যোগ করে চলের দাম নির্ধাণ করা হয়েছে। সর্বমোট ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আট লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান (দেড় লাখ টন ধানে এক লাখ টন চাল পাওয়া যাবে)। তবে এবার অভ্যন্তরীণভাবে গম সংগ্রহ করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২ মে থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে এবং শেষ হবে ৩১ আগস্ট।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত বোরো মৌসুমে ৩৪ টাকায় চাল, ২৪ টাকায় ধান এবং ২৮ টাকা কেজি দরে গম কিনেছিল সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল বলেন, গত ২০ বছরের তুলনায় এবার মজুত সর্বোচ্চ। বর্তমানে সরকারের ঘরে খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৭ মেট্রিক টন।
এত পরিমাণ চাল মজুত থাকার পরও বাজারে চলের দাম কমছে না কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা মোটা চাল সংগ্রহ করি। ঢাকার বাজারে মোটা চালের দাম ৪২ টাকা। আর মফস্বলে ৩৫-৩৭ টাকা। তবে ৪০ টাকার বেশি নয়। তবে সরু চালের দাম ৫৫-৬০ টাকা। কোথাও কোথাও এর একটু বেশিও আছে। কিন্তু আমরা মোটা চাল নিয়ে ড্রিল করি। সে চালের দাম ঢাকাতেই ৪২ টাকা। তিনি বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থের পাশাপাশি কৃষকদের কথাও চিন্তা করতে হবে। কৃষকদের উৎপাদন খরচ না উঠলে তারা ধান চাষে মুখ ফিরিয়ে নেবে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম ৫-১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং যে পরিমাণ চালের দাম বেড়েছে তা স্বাভাবিক।
এ বছর আরও বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে এমন পরিস্থিতে খাদ্যে কোনো ধরনের সঙ্কট হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে আর আগামীতে উৎপাদনের যে সম্ভাবনা আছে তাতে সঙ্কট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
Advertisement
এমইউএইচ/আরএস/এএইচ/এমএস