আপনি মনে মনে যা ভাবছেন আপনার পাশে বসে থাকা বন্ধু তা এমনিই বুঝে যাচ্ছেন। তার জন্যে আলাদ করে আপনাকে আর কথা খরচ করতে হচ্ছে না। আচ্ছা এমনটা যদি সত্যিই হতো?
Advertisement
ধরে নিন আপনার ইচ্ছাপূরণের সেই সময় এসে গেছে। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজির ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক গবেষক এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যার সাহায্যে মানুষের মাথার মধ্যে যে চিন্তাভাবনা চলছে তা শুনতে পারবেন দ্বিতীয় ব্যক্তি।
তবে অর্ণব কাপুর আবিষ্কৃত অল্টার ইগো হেডসেট কোনও মাইন্ড রিডিং যন্ত্র নয়। এমআইটির মিডিয়া ল্যাব তাদের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, এই যন্ত্র আপনার মস্তিষ্কের ভিতরে কী চলছে তা পড়তে পারে না। মানুষের ব্রেন অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে এর কোনও সরাসরি যোগাযোগ বা ফিজিকাল অ্যাকসেস নেই।
প্রশ্ন আসে তাহলে কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্র? অল্টার ইগো সাবভোকালাইজেশন টেকনলজির ব্যবহার করে। যখনই আপনি মনে মনে কোনও কথা বলেন, চোয়াল সামন্য হলেও নড়াচড়া করে। মুখের নিচের দিকে এবং ঘাড়ের কাছের ত্বকের উপর যে ইলেক্ট্রিকাল ইমপালস তৈরি হয় সেটিই পড়ে ফেলে এই যন্ত্র।
Advertisement
যন্ত্রটি দেখতে খানিকটা বাকানো হাড়ের মতো। কানের পাশে লাগানো এই যন্ত্র ছুঁয়ে থাকে থুতনির কাছের চোয়াল এবং নিচের ঠোঁট। যদিও সাবভোকালাইজেশনকে শব্দে রূপান্তরিত করা কোনও নতুন ভাবনা নয়, তবে অর্ণব কাপুর ও তার সহযোগীরা খুঁজে বের করেছেন মুখের এমন সব অংশ যেখান থেকে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য ভাইব্রেশন গ্রহণ করতে পারবে এই যন্ত্র।
শুরুতে ১৬টি সেন্সর ব্যবহার করলেও এখনও মাত্র ৪টি সেন্সরেই পাওয়া যাচ্ছে সাফল্য। তবে ‘ওভার দ্য ওয়েভ’ সাউন্ড ওয়েভের মাধ্যমে শ্রোতার কাছে শব্দ পৌঁছাবে না। বোন কনডাকশনের মাধ্যমে শ্রোতার মস্তিষ্কে শব্দ পৌঁছায়।
টিটিএন/এমএস
Advertisement