জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান। আর মুম্বাইয়ের ২ উইকেট। ১৮ ও ১৯তম ওভারে ম্যাকগ্লেনাগান ও জাসপ্রিত বুমরাহর দুই ওভার থেকে ৪০ রান তুলে ফেলে চেন্নাই। তবে সাজঘরে ফেরেন ব্রাভো। জয়ের জন্য মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে দলটির প্রয়োজন ছিল ৭ রান। প্রথম তিনটি বলে রান নিতে পারেননি যাদব। চতুর্থ বলে ফাইন লেগ দিয়ে ছয়ের পর পঞ্চম বলে কাভার দিয়ে চার মেরে দলকে এনে দেন দারুণ এক জয়। ম্যাচ শেষে যাদব জানান, মোস্তাফিজের খারাপ বলের অপেক্ষায় ছিলাম।
Advertisement
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কেদার যাদব বলেন, ‘আমি জানতাম আমি দৌঁড়াতে পারবো না এবং আমাকেই রান তুলতে হবে। ঠিক করেছিলাম এই ছয়টি বল খেলবো এবং উইকেটে থাকবো। কিন্তু তিন বল পরেই আমি দেখলাম (তাহির) কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করছিল। তবে আমি জানতাম যে বোলার অনেক চাপ নিয়ে আসবে। আমি অপেক্ষা করছিলাম আমার সুযোগের জন্য। জানতাম যে খারাপ বল আসবে। আমি দেখতে চাইছিলাম আমার শরীর কিভাবে প্রতিক্রিয়া করে। গভীর ভাবে আমি খেলাটি কেড়ে নিয়েছি। এবং সে (মোস্তাফিজ) আরও চাপে পড়েছিল।’
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার এভিন লুইস ও রোহিত শর্মা। তবে ইশান কিশানের ২৯ বলে ৪০ আর সূর্যকুমার যাবদের ২৯ বলে ৪৩ রানে ঘুরে দাঁড়ায় মুম্বাই। শেষ দিকে ২২ বলে ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৪১ রানের ওপর ভর করে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় মুম্বাই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারানো চেন্নাইকে ম্যাচে ফেরান ব্রাভো। ৩০ বলের বিধ্বংসী ইনিংসে ৭ ছক্কা ও তিন চারে ফিরেন ৬৮ রান করে। আর শেষ ওভারে ১০ রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন কেদার যাদব।
Advertisement
এমআর/পিআর