দেশজুড়ে

পাগলি কন্যা সন্তান প্রসব করায় মন ভেঙে গেছে কাশেমের

এবার নোয়াখালীর হাতিয়ায় খালেদা নামে ২৩ বছর বয়সী এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী মা হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার ১নং হরনী ইউনিয়নের ট্যাঙ্কিরখাল এলাকার একটি বাড়িতে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

Advertisement

এর আগে মাদরীপুরের শিবচর উপজেলায় সালমা নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী সন্তান প্রসব করার পর দেশব্যাপী আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনা ভুলতে না ভুলতেই একই ঘটনা ঘটল নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়।

এলাকাবাসী জানান, কয়েক মাস ধরেই খালেদা নামে ওই মানসিক রোগী ট্যাঙ্কির খাল এলাকার বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করতেন। তিন মাস আগ থেকে তার গর্ভধারণের বিষয়টি অনুমান করতে পেরে স্থানীয় সাইকেল মেকার আবুল কাশেম তাকে বাড়িতে আশ্রয় দেন। আশ্রয় দেয়া আবুল কাশেম একাধিক কন্যা সন্তানের বাবা। পাগলী থেকে পুত্র সন্তান পাবেন সেই আশায় তিনি তাকে বাড়িতে আশ্রয় দেন। দীর্ঘদিন তাকে দেখা শোনাও করেন। উদ্দেশ্য ছিল ওই নারীর পুত্র সন্তানের বাবা তিনি হবেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদার প্রসব বেদনা উঠলে আবুল কাশেম স্থানীয় এনজিও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার পল্লী চিকিৎসকদের দিয়ে তাকে চিকিৎসাও দিয়েছেন। কিন্তু কাশেমের ভাগ্য এবারও খারাপ। কারণ ওই নারী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এজন্য তাকে আর রাখতে রাজি নয় আবুল কাশেম।

Advertisement

সন্ধ্যায় খালেদা কন্যা সন্তান প্রসবের পর তাকে বাড়ি থেকে সন্তানসহ বের করে দেয়ার উদ্যোগও নেন কাশেম। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে আপাতত তাকে আশ্রয়ে রেখেছেন তিনি। তবে স্থায়ীভাবে আর নবজাতকটির দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন না তিনি।

এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলার কর্মরত স্থানীয় সংবাদকর্মী আরিফ সবুজ জাগো নিউজকে জানান, তিনি ঘটনাটি শোনার পর আবুল কাশেমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। ওই নারীর সন্তান জন্ম দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এতো দিন আমি তাকে দেখা শোনা করেছি। এখন আমি আর পরাবো না। আমার নিজের ঘরে চারটা কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক জালাল আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ সংক্রান্ত তার কাছে কোনো তথ্য নেই।

মিজানুর রহমান/এমএএস/আরআইপি

Advertisement