চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে ঢুকে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি।
Advertisement
শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান তিনি।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ এনে গত ৩১ মার্চ অধ্যক্ষ জাহেদ খানকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর জাহেদ খান নগরীর চকবাজার থানায় মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা করেন।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল আজিম রনি জানিয়েছেন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধে তিনি বিজ্ঞান কলেজের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। গত ৩১ মার্চ নেতাকর্মীদের নিয়ে যখন বিজ্ঞান কলেজে যান, তখন সেখানে অনেক সন্ত্রাসী ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা রনিদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে তারা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে দাবি আদায়ের জন্য অধ্যক্ষের কাছে যান। এ সময় অধ্যক্ষ পালানোর চেষ্টা করলে তারা তাকে ঘিরে রাখেন।
Advertisement
তিনি আরও দাবি করেছেন, ‘পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়ার জন্য আমরা অধ্যক্ষকে ভদ্র ভাষায় অনুরোধ করি। এ সময় জাহদ খান খারাপ আচরণ করলে, আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ হন। মূলত এরপর উত্তেজনার একপর্যায়ে জাহেদ খানকে সবাই মিলে তার চেম্বারে প্রবেশে বাধ্য এবং তাকে আঘাত করা হয়, যার ভিডিও গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে’।
ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রনি বলেন, ‘উত্তেজনাকর একটি পরিস্থিতিতে নিজের রাগ সংবরণ করতে না পারায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার ছিল। জাহেদ খান সাহেব শিক্ষকতা পেশায় আছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে এই আচরণের জন্য আমি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী’।
তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা প্রসঙ্গে রনি বলেন, ‘অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর আমার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে। এই অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আমি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছি। কোনোদিন কোনো প্রতিষ্ঠান আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তুলতে পারেনি’।
পরিশেষে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীর কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। সর্বোপরি এই চট্টগ্রামের আপামর শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং চট্টগ্রামবাসীকে আমি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি’।
Advertisement
এমএমজেড/এমএস