খেলাধুলা

প্রথমবারেরমত আইপিএল ট্রফি জিততে মরিয়া কোহলি

তিনবার ফাইনালে উঠেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু; কিন্তু কী দুর্ভাগ্য- একবারও শিরোপাটা হাতে তুলে ধরা হয়নি বিরাট কোহলিদের। আইপিএলের শুরু থেকেই বলতে গেলে ব্যাঙ্গালুরুর ঘরের ছেলে হয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। আজকের কোহলির যে উত্থান, সেটা তো ব্যাঙ্গালুরুর হয়েই। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পর কোহলিই দলটির অধিনায়ক। ব্যাট হাতে সব কিছু জিততে পারলেও, এখনও পর্যন্ত এই একটি মাত্র শিরোপা অধরা রয়ে গেলো তার। এবার এই অধরা শিরোপাটাই হাতে তোলার ইচ্ছা কোহলির। খাতায়-কলমে আইপিএলে প্রতিবারই ফেবারিটের মর্যাদা পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। চোখ ধাঁধানো স্কোয়াড নিয়ে লড়াইয়ে নামলেও ফলাফলের ক্ষেত্রে পর্বতের ‘মুষিক প্রসব’ দেখা যায় ব্যাঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে। এবারও অভিজ্ঞ তারকা ও প্রতিভাবান তারুণ্যের মিশেলে ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল গড়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের দলে নাম লেখাতে চান বিরাট কোহলিরা।

Advertisement

ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামীতে অনুশীলন শেষে রয়্যাল অধিনায়ক জানান, ‘একজন সমর্থকের চেয়েও আমি ট্রফি জিততে মুখিয়ে রয়েছি। গত ১০ বছর ধরে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলছি। তিনবার ফাইনালে উঠলেও শেষরক্ষা হয়নি। এবার ট্রফি জিততে ১২০ শতাংশ দিতেও প্রস্তুত।’

রোববার ইডেন গার্ডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এবারের আইপিএল অভিযান শুরু করছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আগামীকালই (শুক্রবার) কলকাতা পৌঁছে যাবে বিরাট বাহিনী।

তিনবার ফাইনালে উঠলেও রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে আরসিবিকে। ২০০৯ সালের ফাইনালে ডেকান চার্জার্সের কাছে হারে ব্যঙ্গালুরু। ২০১১ সালের ফাইনালে আরসিবিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৬ ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে বিধ্বস্ত হতে হয় কোহলিদের। এছাড়া ২০১০ ও ২০১৫ দু’বার প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল কোহলির দল। বাকি মৌসুমগুলোতে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় কোহলিরা।

Advertisement

অধিনায়ক বিরাট ছাড়াও এবার ব্যাঙ্গালুরু দলে এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান রয়েছে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যন কুইন্টন ডি ককও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে। এছাড়া রয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, কোরি অ্যান্ডারসনের মতো অল-রাউন্ডারদের পাশাপাশি টিম সাউদি-সিরাদের মতো বোলারদের নিয়ে ট্রফি খরা কাটাতে মরিয়া ব্যাঙ্গালুরু। কোহলি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং বরাবরই শক্তিশালী। এবার আমাদের বোলিং যথেষ্ট ভালো। ফলে এবার জেতার ব্যাপারে একটু বেশিই আশাবাদি।’

কোহলির দলে এবার স্পিন বোলিং একটু বেশিই নজর দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ। ইউযবেন্দ্র চাহাল ছাড়াও রয়েছে ওয়াশিংটন সুন্দর, মুরগান অশ্বিন, পবন নেগি। এছাড়াও ইংল্যান্ডের অল-রাউন্ডার মঈন আলিকে বল হাতে দেখা যেতে পারে মাঠে।

আইএইচএস/পিআর

Advertisement