জাতীয়

দাবি আদায়ে অনড় সোয়ানের পোশাক শ্রমিকরা

বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে  সোয়ান গার্মেন্টসের পোশাক শ্রমিকরা। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ১৬ তম দিনেও তারা তা অব্যহত রখেছে। জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের কাছে সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নিয়ে কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। তিন মাস আগে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারা গেলে শ্রমিকদের পাওনা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে চার মাস ধরে বকেয়া বেতন বোনাস পরিশোধ না করেই সোয়ান গার্মেন্ট  বন্ধ ঘোষণা করায় গত ১২ জুলাই থেকে  অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে কারখানার পোশাক শ্রমিকরা।শ্রমিক নেতারা জানান, কারখানাটি বেআইনিভাবে চার মাস ধরে বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। ঈদের বোনাসও পাওনা রয়েছে। তাই পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে ।বেলাল হোসেন নামের এক পোশাক শ্রমিক জানান, দুই বছর ধরে ছয় হাজার চারশ টাকা বেতনে সোয়ান গার্মেন্টসে কাজ করছি। গত তিন মাস ধরে ঘর ভাড়া না দেওয়ায় তার ঘর তালাবদ্ধ করে দিয়েছে ঘর মালিক। খেয়ে না খেয়ে ১৬ দিন ধরে অবস্থান করছি। আমরা বেতন চাই, আমাদের পরিবারের সদস্যরা না খেয়ে দিনযাপন করছে।কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লাভলী আক্তার জানান, দেড় বছর ধরে কাজ করছি সোয়ান গার্মেন্টসে। সাত হাজার টাকার বেতন দিয়েই চলে তার সংসার। সংসারে পুঙ্গ স্বামী আর দুই মেয়ে আছে জানিয়ে লাভলী আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, চার মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় বাসা ভাড়া দিতে পারিনি। আগামী ৭ তারিখের মধ্যে ভাড়া দিতে না পারলে মালিক বাসার মালামাল রেখে বের করে দিবে বলে শাসিয়ে গেছেন।এদিকে পোশাক শ্রমিকদের লাগাতার কর্মসূচির কারণে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সোয়ান গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি আন্তরিক ও মানবিকভাবে বিবেচনা করে শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। এছাড়া সোয়ান গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে কিভাবে এবং কোন উৎস্য থেকে সহায়তা করা যায় তা ঠিক করতে এবং শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে ৯ সদসস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।এএইচ/এমএস

Advertisement