দেশজুড়ে

আগৈলঝাড়ায় অবৈধ মোটরসাইকেল আটক ও মামলা

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শতাধিক অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে উপজেলায় ভাড়ায় চালিত `মোটরসাইকেল সমবায় সমিতির` নামে  পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল চলাচল করলেও সেগুলো আটক করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।থানা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারি নির্দেশনার পর আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ জনসচেতনতা বাড়াতে এলাকায় মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারণা চালায়। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মালিকেরা দীর্ঘ দিনেও তাদের মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন না করায় ১৫ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১২ দিনে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় রেজিস্ট্রেশনেবিহীন শতাধিক অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ। আটককৃত একাধিক মোটরসাইকেল মালিকেরা অভিযোগ করেছেন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ব্যক্তি মালিকানার মোটরসাইকেলগুলো আটক করলেও উপজেলায় ভাড়ায়চালিত মোটর সাইকেল সমবায় সমিতির নামে অবৈধ পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। যার ৯০ শতাংশরও বেশরি কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। থানায় মাসোহারা দেয়ার কারণে সেগুলো পুলিশ আটক করছে না। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। পাশাপাশি বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এলাকায় প্রায় প্রতি নিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এদিকে মোটরসাইকেল আটকের পরেও গত ১২ দিনে অন্তত ১৫-২০টি মোটরসাইকেল অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। নাম না প্রকাশের শর্তে মোটরসাইকেল সমবায় সমিতির দ্বায়িত্বশীল এক নেতা জানান, উপজেলা সদর, বাশাইল, বাটরা এলাকার প্রায় একশ মোটরসাইকেল তাদের সমিতির আওতাভুক্ত। তিনি স্বীকার করে বলেন, তাদের অধিকাংশ সদস্যরই কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল চললেও সেগুলো তাদের সমিতিভুক্ত নয়। তারা তাদের সমিতিভুক্ত চালকদের বিশেষ তৈরি একটি পরিচয়পত্র দিয়েছেন। যা দেখালে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। সদস্যদের কাছ থেকে ১শ টাকা চাঁদা নেয়া হয়। তা দিয়ে পুলিশ ম্যানেজের কথাও স্বীকার করেন তিনি। ওই টাকা দিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতাকারীদের ম্যানেজ করে তারা রাস্তায় চলাচল করছেন। সমিতির সভাপতি বাবুল শাহকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে জাতীয় মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহন মালিকেরা অভিযোগ করেছেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কে সকল প্রকার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও বরিশাল-গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত চলছে ইজিবাইকগুলো। ১২ দিন মোটরসাইকেল আটকের পর বর্তমানে থানায় ২৫টি মোটরসাইকেল জমা থাকার কথা জানিয়েছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম। মোটরসাইকেল সমিতির কাছ থেকে মাসোহারা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরো বলেন, আটকের পর বাকী ৭৫টি মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে এবং আটককৃত মোটরসাইকেলের মালিকেরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিআই)তে রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা জমা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে গেছেন।এসএস/এমএস

Advertisement