বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৯তম সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি কতটুকু সফল হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগ বলেন, আমিতো মনে করি শতভাগ সফল। শতভাগ সফলতার পরে কিন্তু ব্যর্থতা থাকে না।
আপনাদের সময়ে ছাত্রলীগ নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল বিভিন্ন সময়- এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘নেতিবাচক সংবাদের শিরোনামের দায়িত্ব আপনাদের (সাংবাদিক)। সংবাদের শিরোনাম কোনটা করবেন, সেটা সম্পূর্ণ আপনাদেরই বিষয়।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষের শুধু একটি পরিচয়ই থাকে না। কোনো বিভাগের দুই বন্ধু নিজেদের ভুল বুঝাবুঝির কারণে মারামারি হয়েছে, তারা দুজনই ছাত্রলীগের কর্মী, পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত। এর কোনটা শিরোনাম হবে তার সিদ্ধান্ত আপনারাই নেন। আপনারা লিখবেন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, বিষয়টা কিন্তু তা না। শিরোনামের নেগেটিভ-পজেটিভ বিষয় নিয়ে আমরা ভাবি না।’
সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে আমি ব্যর্থ মনে করছি না। আমরা যদি কোনো ভুল করে থাকি তা আপনারা (সাংবাদিক) দেখবেন। তা ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আপনাদেরও।
আগামী নির্বাচনের আগে এ সম্মেলনকে কীভাবে দেখছেন? কোনো চাপের কারণে কি সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগ বলেন, আমরা অব্যশই ভালো চোখে দেখছি। আর কিসের চাপ? আমাদের একমাত্র অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই এ সম্মেলন হচ্ছে।
নতুন নেতৃত্ব কি ভোটের মাধ্যমে হবে, না সিলেকশনের মাধ্যমে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নেতৃত্ব আমাদের গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ীই হবে। গঠনতন্ত্রের পরেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে।
Advertisement
নির্দেশ থাকার পরও গত মার্চে সম্মেলন না করার বিষয়ে সোহাগ বলেন, আপনারা এখনকারটা বিচার করবেন। তখন তো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অফিসিয়ালি কোনো কিছু ঘোষণা করেনি। এখন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করছি। এরপর না হলে দায়ভার আমাদের।
নতুন নেতৃত্বে যারা আসবে তাদের বয়স কত হবে- এমন প্রশ্নে ছাত্রলীগ সভাপতি ২৭ বছরের নিচে থাকতে গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এ বিষয়ে গঠনতন্ত্রে থাকা বিধান এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই এখানে চূড়ান্ত।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জিাকির হোসাইন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের সকল প্রস্তুতি থাকেবে। তারপরেও আমাদের একমাত্র অভিভাবক শেখ হাসিনা যে নির্দেশ দিবেন সেই অনুযায়ীই হবে।
সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে জাকির বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি সকল কর্মকাণ্ডে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা মনে করি, ছাত্রলীগের যত অর্জন আছে তা কেন্দ্রীয় কমিটি সকল নেতা ও ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে সকল ব্যর্থতার দায়ভার আমাদের দুইজনের (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক)। তারপরও আমাদের সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করবে দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণ।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন সাইফুর রহমান সোহাগ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও আগামী ২৪, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তিন শাখার তারিখ ঘোষণা করা হলেও উপস্থিত ছিলেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ঢাকা উত্তর শাখার সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
এইউএ/এসআর/এমবিআর/আরআইপি