দেশজুড়ে

মোবাইল ফোন নিয়ে যা বললেন রাষ্ট্রপতি

প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, এখন সবাই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে। প্রযুক্তি উন্নয়নের সহায়ক। তবে এই প্রযুক্তি যেন সর্বনাশের কারণ না হয় সেদিকে সবার সজাগ থাকতে হবে।

Advertisement

বুধবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষা এবং কেবল সনদ প্রদানই মূল উদেশ্য নয়; নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, গবেষণা এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে তার দ্বার উন্মোচন করাই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও ব্যবহার এবং আবিষ্কার সম্পর্কে নিজস্ব কর্মসূচি থাকতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নিজেদের জন্য যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম এবং উন্নত পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

Advertisement

মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটা কথা পরিষ্কারভাবে মনে রাখতে হবে, পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হওয়ার জন্য প্রযুক্তি বা মোবাইল ফোন কোনোভাবেই দায়ী নয়। বরং এর দায়দায়িত্ব ব্যবহারকারীর। আমাদের ইতিবাচক পরিবর্তন ও মানবতার কল্যাণে কাজে লাগানোর মধ্যেই প্রযুক্তির সার্থকতা নিহিত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতি গঠনে প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব অত্যাধিক। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা একটি জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করে। প্রকৌশলীদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। সেইসঙ্গে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনে উদ্যোগী হয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের শিক্ষার প্রতিটি স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে নিহত কুয়েটের চার শিক্ষার্থীর স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন- বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।

Advertisement

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে ৩৮ জন কৃতি গ্রাজুয়েটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন।

আলমগীর হান্নান/এএম/জেআইএম