দেশজুড়ে

চসিকের ১১ একর জমি উদ্ধার, গড়ে উঠবে স্যাটেলাইট টাউন

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও বিএফআইডিসি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১১.৪৮ একর জায়গা উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনার ব্যানার লাগিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছিল স্থানীয় একটি চক্র।

Advertisement

বুধবার সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস ও আফিয়া আকতার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। চান্দগাঁও থানা পুলিশ সহায়তা করে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া জায়গায় স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তোলা হবে। এছাড়া এর ৫ একর জায়গায় এ্যাপারেল জোন করার বিষয়ে বিজিএমইএ’র সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চসিক।

উচ্ছেদ কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটিতে নানা স্থাপনা নির্মাণ করে অসাধু চক্র তা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব সম্পত্তি। আমরা কয়েকবার অবৈধ স্থাপনায় অবস্থানকারীদের অবগত করেছি। কিন্তু উনারা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো মামলা করেছেন সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে। মামলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রায় পেয়েছে। এ সময় তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া জায়গায় চট্টগ্রাম গ্রিন এ্যাপারেল জোন স্থাপনসহ আয়মুখী প্রকল্প করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জানা গেছে, চান্দগাঁও থানাধীন সিএন্ডবি বিএফআইডিসি রোড সংলগ্ন ১৩ একর সম্পত্তি পূর্বে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধিকারে ছিল। কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে এই জায়গাটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। জায়গা পাওয়ার পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কিছু অংশকে ডাম্পিং স্টেশন (টিজি) হিসেবে কাজে লাগায়। তদারকির অভাবে বাকি অংশে স্থানীয় একটি অসাধু চক্র নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যানার লাগিয়ে জায়গা দখলে নামে।

Advertisement

চসিক সূত্র জানায়, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই চসিকের অবৈধ দখলকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেন। ২০১৭ সালে এই জায়গার দখলদারদের প্রথমে মৌখিক এবং পরবর্তীতে অফিসিয়ালি নোটিশ প্রদান করে তা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু দখলদাররা আদালতে মামলা করেন। বিচারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মামলায় রায় পায়।

আবু আজাদ/ওআর/আরআইপি