মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপদ রাখার জন্য অচিরেই সেখানে সেনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Advertisement
হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতি তিনি বলেন, এখন থেকে সামরিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। আর সেটি হতে যাচ্ছে একটি বড় ধরণের পদক্ষেপ।
এর আগে হন্ডুরাস থেকে একটি ক্যারাভ্যানে করে শরণার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওনা হয়েছে এমন খবর প্রকাশের পর দেশটিকে দেয়া সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপদ করার জন্য ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছিলেন দেশটির আগের দুই প্রেসিডেন্ট। সীমান্তের শেষ সীমান্ত প্রহরার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শত শত সেনা পাঠিয়েছিলেন।
Advertisement
প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সীমান্তে অপারেশন জাম্প স্টার্ট শুরু করেছিলেন। সেসময় বর্ডার পেট্রলকে সাহায্য করার জন্য হাজার হাজার সেনা পাঠানো হয়।
বাল্টিক দেশসমূহের নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো যতদিন সীমান্তে পথে অবৈধ মানবপাচার বন্ধ না করবে ততদিন পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নাফটার ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, হন্ডুরাস থেকে ক্যারাভ্যানে করে রওনা দেয়া শরণার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়তে চায়। দুর্বল সীমান্ত আইনের কারণেই এমন ঘটনা ঘটার সুযোগ থাকবে। কিন্তু সেই ক্যারাভ্যান পৌঁছানোর আগেই থামানোর ওপর জোর দেন তিনি। এ নিয়ে ফক্স নিউজে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন দেখার পর প্রথম টুইট করেন তিনি।
গত কয়েকদিন যাবৎ অভিবাসী বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন ট্রাম্প। এজন্য ডেমোক্রেটদের দোষারোপ করে তিনি বলেন, তারাই সীমান্ত খুলে দিয়ে অভিবাসী, মাদক আর অপরাধের বিস্তার ঘটাতে দিয়েছে।
Advertisement
ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেক্সিকো সীমান্তে একটি বড় ও সুন্দর প্রাচীর নির্মাণ করা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সিনেট ও কংগ্রেসে পর্যাপ্ত সমর্থ নিয়ে এ বিষয়ে বড় কোন অগ্রগতি হয়নি।
তবে গত মাসে ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত একটি বড় সরকারি ব্যয়ের বিলে দেখা গেছে, সীমান্তে দেয়াল তৈরির জন্য ফেডারেল সরকারকে ১৬১কোটি ডলার দেয়া হয়েছে।
কিন্তু দেয়াল বানাতে হোয়াইট হাউস আড়াই হাজার কোটি ডলার চাইলেও, অর্থায়ন বিষয়ক কংগ্রেস কমিটি তা অনুমোদন করেনি। বরাদ্দকৃত বাজেটের বড় অংশটি বর্তমানে সীমান্তের যে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি এলাকায় দেয়াল আছে তার সংস্কারে ব্যয় করা হতে পারে। এর বাইরে গত মাসে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে, দেয়াল তৈরির জন্য পেন্টাগনের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নেবার ব্যপারে ট্রাম্প প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছেন।
এদিকে, সোমবার ডেমোক্র্যাটিক দলের দু’জন পেন্টাগন প্রধানের কাছে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছেন, পেন্টাগনের বাজেট প্রতিরক্ষা কাজে ব্যয় করা ছাড়া অন্যকোন কাজে লাগানোর বৈধ এখতিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই।
টিটিএন/পিআর