বিশেষ প্রতিবেদন

তরমুজ পরিবহনে ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ

চলতি মৌসুমের তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। গরমে মৌসুমি ফল রসালো তরমুজ কার না পছন্দ। তবে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও দাম বেশি। চাষি, বেপারি ও আড়তদাররা বলছেন, তরমুজ পরিবহনের ব্যয় দ্বিগুণ বেড়েছে। যার ফলে দামও একটু বেশি।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তরমুজ আসছে যাত্রাবাড়ী আড়তে। অনেক চাষি সরাসরি ট্রাক-কাভার্ডভ্যানে করে তরমুজ নিয়ে আসছেন আড়তে। বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। আবার মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে বেপারিরা চাষিদের কাছ থেকে কিনে তা নিয়ে আসছেন আড়তে।

তরমুজ পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. আবু মোজাফ্ফর জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত কোনো ভাড়া নেই ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়ার সুযোগও নেই। তাই যখন চাহিদা বাড়ে তখন ভাড়া বাড়ে, আর চাহিদা কমলে ভাড়া কমে যায়।’

যাত্রাবাড়ীর আড়তে কথা হয় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজলের তরমুজ চাষি শাহজামাল খন্দকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গাড়ি ভাড়াই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আগে যে ভাড়া ২৪ হাজার টাকা ছিল, এখন তা ৫০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। গাড়ি ভাড়া বিবেচনায় নিয়ে আমাদের লাভ করতে হচ্ছে, তাই তরমুজের দাম বেশি।’

Advertisement

গলাচিপার কোরালিয়ার তরমুজ চাষি এনায়েত হোসেন বলেন, গাড়ি ভাড়া এখন ডাবল হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার নিচে কোনো গাড়িই আসে না, আগে এর অর্ধেক ভাড়া ছিল।

যাত্রাবাড়ী আড়তের বেপারি মাহবুবুর রহমান জানান, বরিশালের লাহারহাট থেকে আগে যে ভাড়া ছিল ১৭ হাজার টাকা এখন সেটি হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। স্বরূপকাঠি থেকে ঢাকার ট্রাক ভাড়া এখন ৩২ হাজার টাকা, আগে ছিল ২২ হাজার টাকা।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী আড়তে ঢাকা মেট্রো-ট-১৬৩৮৭৫ নম্বর কাভার্ডভ্যান থেকে তরমুজ নামাতে দেখা যায়। এ সময় গাড়িতে বসে ছিলেন চালকের সহকারী ইউসুফ হোসেন। তিনি জানান, তারা ৪০ হাজার টাকা ভাড়ায় পটুয়াখালীর আমখোলা থেকে এসেছেন। অন্য সময় এই ভাড়া কত ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা।’

ভাড়া বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে ইউসুফ হোসেন বলেন, ‘তরমুজের ট্রাকের কথা শুনলে রাস্তায় চাঁদার রেট বেড়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে রাস্তায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া চাহিদাও বেশি থাকে এ সময়। এ জন্য ভাড়া একটু বেশি।’

Advertisement

আরএমএম/জেডএ/আরএস/পিআর