ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কোন কতৃত্ববলে মন্ত্রী এবং এমপি পদে আছেন সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে মঙ্গলবার। হাইকোর্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।এর আগে গত ৭ জুলাই ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রীত্ব ও এমপি পদ চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন বলে তিনি নিজে জানান। রিটে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে বিবাদী করা হয়েছে।এর আগে গত ৩০ জুন দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনো মন্ত্রী এমপি পদে বহাল রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়া তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়ে মায়াকে একটি উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তার জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন। নোটিসে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়, সংসদে নিনির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।কারণ গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতি মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।আপিল বিভাগের এই রায়ের পরে মায়ার পদে থাকা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য আসে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন মন্ত্রী পদে মায়া থাকবেন কি না তা নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট। অপরদিকে, মায়ার আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের দাবি, যেহেতু আপিল বিচারাধীন, সেহেতু মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ নিয়ে ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলমের মায়ার সংসদ সদস্য পদ ধরে রাখা এখন উচিত নয় বলে দাবি করেছেন।এফএইচ/এএইচ/এমএস
Advertisement