জাতীয়

দামের ফারাক নেই সুপারশপে

গরমে অন্য ফলের চেয়ে তরমুজের চাহিদা বেশি। কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে কিনে খাচ্ছেন, কেউ আবার কিনে ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ঝামেলামুক্ত কেনাকাটার জন্য বেছে নিয়েছেন সুপারশপগুলো। তবে বাজারের দামের সঙ্গে তেমন ফারাক নেই সুপারশপের তরমুজের। আর সুপারশপ থেকে তরমুজ কিনে সন্তুষ্ট ক্রেতারাও।

Advertisement

সরেজমিনে রাজধানীর মীনা বাজার, রিটেল চেইন স্বপ্ন ও আগোরার সুপারশপের আউটলেটে গিয়ে দেখা গেছে সুপারশপে তরমুজ বিক্রির চিত্র। বাজার ও স্থানীয় দোকানগুলোতে তরমুজের আকার অনুমান করে দাম নির্ধারণ হয়। তবে সুপারশপগুলোতে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। মীনা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা দরে, স্বপ্নে ৬৫ টাকা দরে আর আগোরায় বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। মাঝারি আকারের একটি তরমুজ কিনতে সুপারশপের ক্রেতাদের খরচ করতে হচ্ছে সাড়ে ৩শ' থেকে ৪শ' টাকা।

আগোরার মগবাজার আউটলেটের একজন বিক্রয়কর্মী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দাম অনেকটাই ক্রেতার নাগালের মধ্যে, বাইরের বাজার থেকে অনেক কম। বাইরের দোকানগুলোতে দর কষাকষি করে অনেক সময় ক্রেতাদের ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবাই নিজেদের পছন্দের আকারের তরমুজ আমাদের সুপারশপ থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

মগবাজারের মীনা বাজারে জেসমিন নাহার নামের একজন গৃহবধূ জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে দোকানগুলোতে একটা তরমুজের দাম চায় ৫০০ টাকা। আবার ২০০ টাকা বললে দিয়েও দেয়। দামের এত ব্যবধান দেখে মনে হয় বেশি দিয়ে কিনেছি। তাই এখানে এসে নিজের পছন্দমতো সাইজ ও দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যাই।

Advertisement

এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গরমের দিনে সুপারশপের ফ্রিজ ও এসিতে থাকায় ফলের গুণাগুণ অনেকাংশেই অটুট থাকে। তাই আমি সবসময় এখান থেকেই তরমুজ কিনি। দাম একটু বেশি হলেও প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা নাই। এদিকে সুপারশপের পাশাপাশি অনলাইন চেইন শপেও বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। অনলাইন শপ চালডাল' এ ৬ কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৯৫ টাকায়।

এআর/ওআর/পিআর