অর্থনীতি

সিআরআরের প্রজ্ঞাপন জারি : কার্যকর ১৫ এপ্রিল

ব্যাংকে চলমান তারল্য সঙ্কট নিরসনে নগদ জমা সংরক্ষণের (সিআরআর) হার এক শতাংশ কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে শতকরা ৬ ভাগে পুনর্নির্ধারণ করেছে। ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন এ আইন কার্যকর হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত আলাদা দু’টি নির্দেশনা সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে (শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকসহ) তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে এবং ন্যূনতম ৬ শতাংশ দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়।

আগামী ১৫ এপ্রিল নগদ জমা সংরক্ষণের হার দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ হবে।

Advertisement

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে শতকরা ৬ ভাগে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রিভার্স রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৪ দশমিক ৭৫ ভাগে অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনাও ১৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট, ঊর্ধ্বমূখী সুদহার নিয়ন্ত্রণ ও শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে শুক্রবার রাত্রে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে রোববার অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠকে করেন বিএবি নেতারা।

ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিআরআর সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে এক শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করা হবে। বিষয়টি আগামী জুনে পর্যালোচনা (রিভিউ) করা হবে। এ সময়ের মধ্যে কী প্রভাব পড়ে, তা দেখতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, এর ফলে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাতে চলে আসবে। এতে তারল্য সংকট কমে গেলে সুদের হারও কমে যাবে।

এত পরিমাণ টাকা বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে দেয়া হলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সে আশঙ্কা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কোনোভাবেই বাড়বে না।

এসআই/এএইচ/এমএস