চলতি বছরের মার্চ মাসে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে। মার্চ মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৩০৫ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ কম। ওই মাসে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এমনকি গত বছরের তুলনায়ও এ বছরের মার্চে রফতানি আয় কমেছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত বছরের মার্চে রফতানি আয় হয়েছিল ৩০৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
Advertisement
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৯ মাসে মোট রফতানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৪৫ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৭৫৫ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ কম হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ে তুলানায় আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ২ হাজার ৫৮১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী গত নয় মাসে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ২১৬ কোটি ৩১ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতে আয় হয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি ১১ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেশি।
Advertisement
আর ওভেন খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১ হাজার ১৫১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেশি। এছাড়া হিমায়িত খাদ্য রফতানি আয় ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মার্চের চেয়ে চলতি অর্থবছরের নয় মাসে প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে আয় কমেছে ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ, রাবার জাতীয় পণ্যে আয় কমেছে ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে কমেছে ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাতীয় পণ্যে আয় কমেছে ২৭ দশমিক ৬১ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে কমেছে ৫২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, জাহাজ শিল্পের পণ্যের আয় কমেছে ৫৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং কাঁচ ও কাঁচজাত পণ্যে আয় কমেছে ২৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এমইউএইচ/এসআই/জেডএ/পিআর