রাজনীতি

‘যতই কলাকৌশল করেন না কেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে’

বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাইরে রাখতেই সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশন ‘অভিন্ন’ উদ্দেশ্যে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘ সরকারকে বলব, আপনারা যত ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করুন না কেন, যতই কলাকৌশল করেন না কেন, যত রকমের ষড়যন্ত্র করেন না কেন, যতভাবে আমাদের নিষ্পেষিত করেন না কেন বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে তারা (বিএনপি) অংশগ্রহণ করবে। এটাই প্রমাণ হবে জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে সেদিন। এবং সেই দিন আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ এসব কথা বলেন।

দলের শীর্ষ আট নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধ্যান সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ আটজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদপত্রে দিয়ে এই চরিত্র হননের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এটাও তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ।’

Advertisement

তিনি বলেন,‘ উদ্দেশ্য একটাই- বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা এবং বাকি শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া, যাতে করে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। এমন অবস্থা করা যাতে এই দল নির্বাচনে আসতে না পারে। এটাই হলো তাদের মূল লক্ষ্য।’

মওদুদ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, এই দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের একটা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। সরকারের যে উদ্দেশ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্দেশ্যও একই। যে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে তারা যাতে নির্বাচনে না আসতে চায়। দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আমাদের দলকে দুর্বল করা যাবে না।’

সরকারের ষড়যন্ত্র ‘নসাৎ’ করে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এটা কখনো গ্রহণ করবে না।’

সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কে কী বলব। এই কমিশন তো আমরাই করেছিলাম অনেক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সত্যিকার অর্থে যারা দুর্নীতিপরায়ণ, বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দুর্নীতি ধরবে, একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এখন এই দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের একটা তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজকে এই কমিশন সরকারের একটি আজ্ঞা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের ইচ্ছাপূরণ করবার চেষ্টা করছে।’

Advertisement

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার সভানেত্রী রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ বক্তব্য দেন। কেএইচ/জেডএ/এমএস