আন্তর্জাতিক

‘ভুয়া খবর’ ইস্যুতে পিছু হঠলো নরেন্দ্র মোদির সরকার

‘ফেক নিউজ’ বা ‘ভুয়া খবর’ ছড়ালে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের সরকারি স্বীকৃতি বাতিলের সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। সাংবাদিকের স্বীকৃতি বাতিলে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে সরকারি সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

Advertisement

গণমাধ্যমের ওপর ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার খবরদারির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে সোমবারের বিজ্ঞপ্তিটি তুলে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে। পিএমও বলেছে, কোনটা ভুয়া খবর, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে প্রেস কাউন্সিল ও ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে আইন পাস হয়েছে যে, ‘ভুয়া খবর’ ছড়ালে দোষী সাংবাদিকের সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল হবে। ভারতেও নানা প্ল্যাটফর্মে বিশেষ করে সোস্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি।

Advertisement

স্মৃতি ইরানি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়া খবর ছড়ানোর অপরাধে দোষী সাংবাদিকের সরকারি স্বীকৃতি সাময়িক স্থগিত রাখা থেকে বাতিলের সুপারিশ করে। তবে সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা এর প্রাথমিক লক্ষ্য হলেও সেই পরিধির বাইরে থাকা সাংবাদিকরাও এর নিশানা হতে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি স্বীকৃতির আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী অ্যাজেন্সিগুলো খতিয়ে দেখবে পিসিআই ও এনবিএর বেঁধে দেয়া সাংবাদিকসুলভ আচরণ ও নৈতিকতার বিধি, সম্প্রচারের মাপকাঠি ঠিকভাবে সাংবাদিকরা পালন করেছেন কি-না।

ওই গাউডলাইনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে তাদের। প্রথমবার বিধি ভাঙলে ৬ মাস তিনি সাসপেন্ড থাকবেন, দ্বিতীয়বার ভাঙলে এক বছর। তারপরও ভুয়া খবর ছড়িয়ে গেলে তার স্বীকৃতি কেড়ে নেয়া হবে। যদিও ভুয়া খবরের সংজ্ঞা দেয়নি মন্ত্রণালয়।

সোমবার কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান, সরকার কি আসলে অপছন্দের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে চাইছে সাংবাদিকদের? এবিপি আনন্দ।

Advertisement

এসআইএস/পিআর