দেশজুড়ে

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, মদ্যপ চিকিৎসক আটক

কক্সবাজারের টেকনাফে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে মদ্যপ অবস্থায় সুরেশ কান্তি নাথ (৩৫) নামে এক পল্লীচিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং বাজার এলাকার চেম্বার কাম বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

Advertisement

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক সুরেশ কান্তি নাথ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া কলাউজান এলাকার পরিতোষ কান্তি নাথের ছেলে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে পল্লীচিকিৎসক হিসেবে হোয়াইক্যং বাজারে দোকান করেছিলেন।

মারা যাওয়া প্রসূতির নাম তাসলিমা আক্তার (১৯)। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং আমতলী এলাকার হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী। গত ৯ দিন পূর্বে তিনি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন।

Advertisement

নিহতের স্বামী হেলাল উদ্দিনের বরাত দিয়ে ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, সপ্তাহ দেড়েক আগে ছেলে সন্তান জন্ম দেয়া তাসলিমা শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কাশির সঙ্গে তার রক্ত আসার পাশাপাশি শরীরে পানি আসায় আতঙ্কিত হয়ে পরিবারের লোকজন সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোয়াইক্যং বাজারের পল্লীচিকিৎসক সুরেশ কান্তি নাথের বাসায় নিয়ে যান। সুরেশ প্রসূতিকে চিকিৎসা হিসেবে আইভি সিলিকন, ডিকট, ড্রাইক্লোপেনাক, রেনিসন ইনজেকশনসহ অন্যান্য ওষুধ দেন। ঘণ্টাখানেকের মাথায় ডাক্তারের চেম্বারেই স্বামী ও মায়ের সামনে ছটফট করতে করতে মারা যান তসলিমা।

ওসি আরও জানান, খবর পেয়েই হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহজাহান ভূইয়াকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নিহতের মা ও স্বামীসহ অন্যরা অভিযোগ করেন ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় তসলিমার মৃত্যু হয়েছে। আর ঘটনাস্থলে সুরেশকে মদ খাওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপরই প্রসূতির মরদেহ ও সুরেশকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তসলিমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে। আটক সুরেশকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম জানান, একদিকে প্রসূতি অন্যদিকে শরীর ফুলে গেছে এমন রোগীকে সুরেশের দেয়া চিকিৎসা যথাযথ হয়নি। আইভি চালানো এবং প্রসূতির চিকিৎসক সম্পূর্ণ ভিন্ন। হত্যার অভিযোগে তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/পিআর

Advertisement