সৌদি আরব কখনো ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু সৌদি যুবরাজ নতুন করে দেশটির পক্ষে মন্তব্য করেছেন। তার এই বক্তব্যকে ইসরায়েল প্রসঙ্গে সৌদি আরবের অবস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন আটলান্টিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমান বলেন, ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় জনগোষ্ঠীরই নিজস্ব ভূমির ওপর পূর্ণ অধিকার আছে।
ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে তাকে কখনোই সৌদি আরব স্বীকৃতি না দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশের মধ্যে কিছুটা গোপনেই সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, দু’পক্ষই মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে তাদের বিশাল হুমকি বলে মনে করছে। ফলে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও শক্তি মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব।
Advertisement
এমনকি গত নভেম্বরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানকে মোকাবেলায় তার দেশ প্রয়োজনে সৌদি আরবের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্যেও প্রস্তুত রয়েছে।
সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামপন্থী সশস্ত্র জঙ্গিদের উত্থানকেও দুই দেশই বর্তমান সময়ের বড় ঝুঁকি বলে মনে করে। ফলে গত কয়েক মাসে ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক বেশ নিবিড়ও হয়ে উঠেছে। এছাড়া সিরিয়া পরিস্থিতি এবং ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধির ফলেও কিছুটা শঙ্কিত ইসরায়েল।
টিটিএন/পিআর
Advertisement