বিনোদন

চলচ্চিত্র দিবসের নেপথ্য নায়ক বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা নামক মহাকাব্যের ‘মহাকবি’, তিনি বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টিতে ‘পোয়েট অব পলিটিকস’। তিনি ছিলেন শিল্প-সাহিত্যমনা একজন মানুষ। তার ছিল দুর্নিবার গ্রন্থপ্রীতি।

Advertisement

বঙ্গবন্ধু কবিতা পড়তেন, গান শুনতেন। চলচ্চিত্র নিয়েও তার আগ্রহের কথা জানা যায় তাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই ও স্মৃতিচারণে। সবচেয়ে বড় কথা বঙ্গবন্ধুর হাতধরেই এই দেশে চলচ্চিত্র যাত্রা করেছিল। তিনি নায়ক ফারুক, সোহেল রানা, অভিনেত্রী অঞ্জনাসহ আরও অনেককেই চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছিলেন।

আজকের ৩ এপ্রিল যে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালন করা হয় সেখানেও জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। ইতিহাস বলে, চলচ্চিত্রকে নিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেজন্যই ১৯৫৭ সালে তিনি প্রাদেশিক সরকারের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে সংসদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) বিল উত্থাপন করেন এবং এফডিসি বিল পাস হয়।

একটি দেশের জন্য তার সংস্কৃতি কত বড় হাতিয়ার তা অনুধাবন করতেন বলেই বঙ্গবন্ধু বাংলার সংস্কৃতির জন্য এফডিসি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল এ বিলটি উত্থাপিত হয়েছিল যে কারণে ৩ এপ্রিলকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস করার দাবি ওঠে বিনোদন সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্রকর্মীদের পক্ষ থেকে।

Advertisement

৩ এপ্রিলকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা এবং চলচ্চিত্রকে সরকারিভাবে শিল্প ঘোষণার দাবিতে অসংখ্য সভা, সেমিনার, উৎসব আয়োজন করা হয়। মিডিয়াকর্মী এবং সংস্কৃতিকর্মীদের দাবিগুলো একসময় গণদাবিতে পরিণত হয়। গণদাবীকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ৩ এপ্রিলকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস এবং চলচ্চিত্রকে সরকারিভাবে শিল্প ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে দিনটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও।যতদিন এই দেশে চলচ্চিত্র থাকবে ততদিন এর নেপথ্য নায়ক হিসেবে উচ্চারিত হবে বঙ্গবন্ধুর নাম। আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের এই দারুণ দিনে জাতির জনকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাবেন চলচ্চিত্রকর্মীরা।

এলএ/বিএ/এসআর/জেআইএম