রাজনীতি

হাসপাতালে কেমন আছেন ফখরুল?

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইউনুস আলী জাগো নিউজকে জানান, সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ বোধ করলে তাকে ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ হওয়ায় সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল’ এর একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি। তার পরিবর্তে ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

মঙ্গলবারও জাতীয় প্রেসক্লাবে এনপিপির একটি কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিবের থাকার কথা ছিল। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বলে এনপিপি সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে ফখরুলের অসুস্থতার খবরে সকাল থেকেই তার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান অনেকে। কেমন আছেন তিনি?

Advertisement

বিএনপি মহাসচিবের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত সাইফুল ইসলাম রিংকু সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে জাগো নিউজকে মুঠোফোনে বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে দুটি বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ছাড়া প্রায় সবাই আসছিলেন হাসপাতালে। ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহানসহ দলের অনেক নেতা এসেছিলেন। এছাড়াও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিও বিএনপি মহাসচিবকে দেখতে যান।’

তিনি বলেন, ‘এখন স্যারকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আমরা হাসপাতালে আছি। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এনজিওগ্রাম করানো হবে।’

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ মির্জা ফখরুলকে দেখতে যাওয়ার কথা জানিয়ে জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনি ভালো আছেন।’

মহাসচিবকে দেখে ফিরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মো. শাজাহান মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ‘মহাসচিবের এখন প্রেসার যাচ্ছে, মানসিক চাপে রয়েছে, দুর্বল হয়েছে, প্রেসার লো ছিল, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন তিনি আশঙ্কামুক্ত। সকালে এনজিও গ্রাম করার কথা আছে।’

Advertisement

দলের মহাসচিবের অসুস্থতায় দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের প্রভাব পড়ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন, আর নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ মানুষ সরকারের অত্যাচারে নির্যাতিত। এই বড় অসুখের কাছে ছোট অসুখ কিছু না, মা-বাবার অসুখের জন্য যেমন কষ্ট লাগে, নেতাদের অসুখেও তেমন কষ্ট লাগে। এতে লড়াই সংগ্রামের কোনো সমস্যা হবে না।’

কেএইচ/বিএ