‘এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক, কারও কাছে ফাঁস হওয়া ভুয়া প্রশ্নপত্র পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে’ বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
Advertisement
সোমবার দুপুরে উত্তরায় র্যাব সদরদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গত তিনদিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে র্যাব। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আটক সাতজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ভুয়া প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলে অগ্রিম টাকা আদায় করে। তবে তাদের কাছে কোনো প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের গ্রুপের এক অ্যাডমিনকে আটক করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাসঁ ঠেকাতে এবার ক্রেতা হিসেবে মাঠে থাকবে র্যাব। সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন মনিটরিং ও গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে।
Advertisement
‘র্যাবের কর্মকর্তারা নিজ নিজ এলাকার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো মনিটরিং করছে। কোনো ছাত্র বা অভিভাবকের কাছে প্রশ্ন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে’- বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একাযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবার পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক প্রশ্নের সেটও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এবার সারাদেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। গত বছরের তুলনায় এবার এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ পরীক্ষার্থী বেড়েছে। বৃদ্ধির হার ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছয় লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ এবং মেয়ে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ জন।
এআর/এমএআর/পিআর
Advertisement