ক্যারিয়ারটা প্রায় শেষের পথে চলে এসেছে। কিন্তু মাশরাফি বিন মর্তুজার সেদিকে যেন খেয়ালই নেই! এখনও মাঠে সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়েন। পারফরম্যান্সেও অনেক তরুণের তুলনায় এগিয়ে। দুর্দান্ত ধারাবাহিকতায় এবারের লিগে অনন্য এক রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন 'নড়াইল এক্সপ্রেস'। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন তিনিই। মাশরাফির দল আবাহনীর লিগে এখনও একটি ম্যাচ বাকি আছে। তবে এরই মধ্যে ৩৮ উইকেট নিয়ে সবার উপরে চলে এসেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ঢাকা লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারের রেকর্ডটি এতদিন দখলে ছিল আবু হায়দার রনির। গত মৌসুমে (২০১৬-১৭) গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ৩৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার।
Advertisement
আজ সুপার লিগে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই মাশরাফির নামের পাশে ৩৫ উইকেট ছিল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ ৩২ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে এই মৌসুমে মাশরাফির উইকেট ৩৮টি।
এমন রেকর্ড গড়ার পর মাশরাফি কি ভাবছেন? টাইগার অধিনায়ক মনে করছেন, ৫০ ওভারের ফরমেটটাতে আলাদা মনোযোগ দেয়াতেই এই সাফল্য, ‘৩৮ উইকেট পাব বা সবার উপরে থাকব এমন ভাবনায় লিগ শুরু করিনি। যেহেতু আমি টি-টোয়েন্টি দলে নেই এবং আগে থেকেই জানতাম, অনেক দিন পর এবার পুরো লিগ খেলার সুযোগ মিলবে। কাজেই একটা টার্গেট ছিল। যেহেতু আমি শুধু ৫০ ওভারের ফরমেটেই জাতীয় লিগে খেলি এবং প্রিমিয়ার লিগও ৫০ ওভারের হয়, তাই টার্গেট ছিল নিজেকে তৈরি রাখার জন্যই সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেলব।’
এবার উইকেট ফ্ল্যাট ছিল বলে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো জায়গায় বল ফেলার কৌশল ছিল মাশরাফির। বাংলাদেশের পেস বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেক দিনের। অন্য পেসাররাও এবার ভালো করেছে দেখেও স্বস্তি অনুভব করছেন নড়াইল এক্সপ্রেস, ‘এবার অন্য কয়েক বছরের তুলনায় উইকেট ফ্ল্যাট ছিল। ভালো জায়গায় বল ফেলতে পারলে সফল হওয়ারও সুযোগ ছিল। আমি সে চেষ্টাই করেছি অনেকদিন খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে। আমি একা নই। এবার পেস বোলাররা অন্য কয়েক বছরের তুলনায় ভালো করেছে। শীর্ষ উইকেটশিকারিদের মধ্যে ৩-৪ জন পেস বোলার আছে।’
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/আরআইপি