প্রশ্নফাঁস করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, মানুষের সাধ্যের মধ্যে যা যা করা সম্ভব প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে তাই করা হচ্ছে। তারপরও কেউ যদি এমন ন্যাক্কারজনক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তবে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
সোমবার সকালে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য আলাদাভাবে দুটি প্যাকেটে সিলগালা ও সিকিউরিটি প্যাকে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে সারাদেশে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ হয়েছে। সে প্রশ্ন দিয়েই আজকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রশ্নফাঁস হওয়ার সকল সম্ভাবনায় কড়া নজরদারি বসানো হয়েছে। তাই প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলছে। কোথাও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্ধারিত ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন কারণে ১০ জন পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের তথ্য সংগ্রহ ও দেরির কারণ রেকর্ড করা হয়েছে। তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশনা রয়েছে।
Advertisement
এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমসিকিউ তুলে দিয়ে পাবলিক পরীক্ষায় কিছু সংস্কারণ কাজ শুরু হয়েছে। এটি নিয়ে জনমত তৈরি করতে হবে। আমরা প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে সকলে সম্মতি দিলে এমসিকিউ (নৈব্যক্তিক) প্রশ্ন তুলে দেয়া হবে।
এখনও ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের বিজ্ঞাপন পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে যখন যে মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত তথ্য আসছে আমরা সেসব লিংকগুলো আইসিটি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এখনও কিছু কোচিং সেন্টার খোলা রয়েছে বলে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় এইচএসসি সংশ্লিষ্ট কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় একাধিক অভিভাবক প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
Advertisement
পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক মো. মাহাবুবুল হক, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/এমবিআর/জেআইএম