ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে আবারও অনশনে বসেছেন ওয়ালিদ আশরাফ। রোববার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনে পুনরায় অনশন শুরু করেন তিনি।
Advertisement
ওয়ালিদ আশরাফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র। এর আগে একই দাবিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর টানা ১৫ দিনের অনশনে বসেছিলেন এ শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে তিনি অনশন ভাঙেন।
জানতে চাইলে ওয়ালিদ আশরাফ বলেন, ডাকসুর নির্বাচনের দাবিতে আমি আবারও অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি। আমার প্রত্যাশা ছিল বর্তমান ডিজিটাল সুবিধায় ও প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত এই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে। কিন্তু বর্তমান তোষামোদী প্রশাসন এক বছরের প্রস্তুতি সময় চেয়ে তার অযোগ্যতাই তুলে ধরেছে। তারা আদালতকে মূল্যায়ন করছে না। যতদিন দাবি আদায় না হবে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের ইন্ধনে ধারাবাহিকভাবে একটি নির্দিষ্ট সংগঠনের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ক্রমাগত নিপীড়ন চলছে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে আস্থার ছায়া দেয়ার কথা বিবেচনায়, এই প্রশাসনের অপারগতা বিবেচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বলিষ্ঠ পদক্ষেপ প্রার্থনা করছি।
Advertisement
উল্লেখ্য, আদালতের দেয়া পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠন এবং ডাকসু নির্বাচনের শেষ তারিখ আগামী ১০ এপ্রিল শেষ হবে। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আদালতের নির্দষ্ট তারিখ অমান্য করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাবি কর্তৃপক্ষ সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে ২০১৯ সালে ৩০ মার্চের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়।
এমএইচ/এমবিআর/জেআইএম