জাতীয়

নিবন্ধিত চিকিৎসক ছাড়া সিজার করলে শাস্তি নিশ্চিতের সুপারিশ

ডিগ্রিধারী অথবা নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্য কেউ গর্ভবতী মায়েদের সিজার করলে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় সিজারের সংখ্যা কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে তদারকি বাড়ানোর সুপারিশ করে কমিটি।

Advertisement

তিনদিন আগে সিজারের সময় নবজাতকের মাথা কেটে ফেলার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর এই ধরনের সুপারিশ করল সংসদীয় কমিটি। মানিকগঞ্জের বালিরটেক বাজারের একটি ক্লিনিকে সিজারের সময় মাথার কিছু অংশ কেটে ফেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। গতবছর সাতক্ষীরায় সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের মাথা কেটে ফেলা হয়। এছাড়া বাংলাদেশে সিজার নিয়ে সবসময় বিতর্ক রয়েছে।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২১তম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, মো. আব্দুল ওদুদ এমপি এবং সেলিনা বেগম অংশ নেন।

বৈঠকে সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম বাংলাদেশের সিজারব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চান তিনি।

Advertisement

এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সিজার স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশে কোথাও কোথাও ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মায়ের সিজার করা হয়, যা অস্বাভাবিক।

এ সময় সভাপতি বলেন, স্বাভাবিকভাবে শিশু জন্ম দেয়ার জন্য ওই সময় দুই তিন ঘণ্টা সময় দেয়া দরকার। কিন্তু আমাদের দেশের ডাক্তাররা এত সময় দেন না। তাদের হাতে সময় কম। এজন্য সিজার করান। এটা খুবই উদ্বেগজনক।

এ দিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি অটিজম ও স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসার্থে গ্র্যাজুয়েট অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে।

বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কনক কান্তিসহ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এইচএস/জেডএ/জেআইএম