কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে ডিপ্লোমা ইন প্যারামেডিক (ডিপিএমসি) ডিগ্রির প্যাড ব্যবহার করে মা ও শিশু স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ (গাইনি চিকিৎসক) সেজে রোগীদের চিকিৎসা দিতেন খালেছা বেগম।
Advertisement
রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ভুয়া গাইনি ডাক্তার হিসেবে শনাক্তের পর তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে খালেছার মতো একই পন্থায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসা হাসপাতাল সড়কের মোর্শিদা খানম, আলমাছিয়া মাদরাসার সামনে নিজস্ব বাড়িতে রেহানা আক্তার কাজল, সাবেক চেয়ারম্যান লুতু মিয়ার বাড়ির সামনে রিখা শর্মা তাদের চেম্বার বন্ধ করে পালিয়ে যান।
ইউএনও মো. নোমান হোসেন প্রিন্স বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পাচ্ছিলাম ঈদগাঁওতে ভুয়া গাইনি চিকিৎসকরা সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।
Advertisement
রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে ঈদগাঁও বাজারে যাওয়া হয়। ডিসি সড়কের বটগাছ তলা শাপলা চত্বরে খালেছা বেগম নামের এক নারী চিকিৎসকের চেম্বার পাওয়া যায়। সেখানে ঢুকে দেখা যায় একটি দোকানকে তিনি চেম্বার হিসেবে ব্যবহার করছেন। এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রিধারী না হয়েও তিনি নামের সঙ্গে ডা. উপাধি ব্যবহার করেছেন। একইসঙ্গে কোনো ডাক্তারি সনদপত্র না থাকার পরও দীর্ঘদিন এলাকায় প্রসূতি সেবাসহ অপারেশন পরিচালনা করেছেন।
ইউএনও আরও জানান, খালেছা বেগম তার ডাক্তারির স্বপক্ষে কোনো সনদপত্র দেখাতে পারেননি। সেইসঙ্গে জনগণের সঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। এ অপরাধে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি সিলগালা করা হয় তার চেম্বারটি। এবারের মতো সাবধান করে অঙ্গীকারনামা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/আরআইপি
Advertisement