খেলাধুলা

মেয়েদের নৈপূণ্যে কোচ ছোটনই অবাক

হংকংকে হারানোর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ৭ ম্যাচ জিতলো অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দল। ডিসেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এই মেয়েরা জিতেছিল চার ম্যাচ। হংকংয়ে তিন ম্যাচ। তার চেয়ে বড় কথা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে মারিয়া-তহুরা যে নৈপূণ্যে ট্রফি জিতেছিল, এ অঞ্চলের বাইরে গিয়ে তার চেয়েও ভালো ফুটবল খেলেছে । মেয়েদের সুন্দর পারফরম্যান্স দেখে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিজেও অবাক হয়েছেন।

Advertisement

রোববার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেয়েদের ফুটবলের এ থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমাদের দলের পারফরম্যান্সের কোনো উত্থান-পতন হয়নি। সাফে যেভাবে চার ম্যাচ খেলেছে, এখানেও তাই। তার চেয়ে বরং ভালো খেলেছে মেয়েরা। এটা আমার কাছে আশ্চর্যজনকই মনে হয়েছে।’

চ্যাম্পিয়ন হবই- হংকং যাওয়ার আগে সেটা জোর দিয়ে বলেননি কোচ। কারণ, একমাত্র ইরান ছাড়া অন্য দুটি দলের সঙ্গে আগে কখনো বয়সভিত্তিক ফুটবল খেলেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। অচেনা প্রতিপক্ষ বলে বাংলাদেশ শুধু ভালো খেলার প্রত্যাশা দিয়েই ঢাকা ছেড়েছিল। কিন্তু মাঠে ভালো খেলতে পারলে যে ফল আসবেই, হংকংয়ে সেটাই প্রমাণ করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোরীরা।

‘ঢাকা থেকে যে প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলাম, সে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। মেয়েরা উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছে। সাফ ও হংকংয়ে আমরা একই ছন্দে খেলেছি। এখানে টানা তিন ম্যাচ একই ছন্দে ফুটবল খেলেছে মেয়েরা। এর পেছনের কারণ, কঠোর অনুশীলন। গত কয়েকটা মাস টেকনিক্যালি, ট্যাকটিক্যালি, ফিজিক্যালি সব দিকে উন্নতি করেছে আমাদের দল’-চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বলছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন।

Advertisement

শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক দল বলে বাড়তি সতর্ক ছিল মারিয়া মান্দারা। তবে মাঠে নেমে তারা আয়োজকদেরও উড়িয়ে দিয়েছে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ নিয়ে প্রধান কোচ বলেন, ‘অন্যান্য ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে মেয়েরা, ডিসেম্বরে যেভাবে সাফে বাংলাদেশ পুরোপুরি আক্রমণাত্মক ছিল। আমি মেয়েদের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি।’

এ ম্যাচটি দেখতে হংকং প্রবাসী অনেক বাংলাদেশি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিল। তারা পুরো ম্যাচে 'বাংলাদেশ বাংলাদেশ' স্লোগান দিয়ে মেয়েদের উৎসাহ দিয়েছে। হতাশ হয়নি তারা। তহুরা-শামসুন্নাহাররা তাদের উপহার দিয়েছে ট্রফি।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

Advertisement