উপস্থাপিকার আসনে ছিলেন পূর্ণিমা আর তার অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিশা সওদাগর। খোস মেজাজে আড্ডা দিতে দিতে পূর্ণিমা মিশাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি সিনেমায় কতবার ধর্ষণ করেছেন?’ উত্তরে মিশা বলেন, ‘যতবার আমাকে পরিচালক বলেছে ততবার করেছি।’
Advertisement
পূর্ণিমা এমনও প্রশ্ন করেন, ‘কার (নায়িকা) সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এই ধর্ষণ সিন করতে?, ‘কেন বিশেষ দুইজনের সঙ্গেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?, এখনও সিন (ধর্ষণ) করতে ইচ্ছা হয়?, ধর্ষণ সিন থাকলে আপনি না করেন নাকি করতে চান?’ উত্তরে মিশা বলেন, গল্পের প্রয়োজনে পরিচালকের নির্দেশনায় ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করেন তিনি।
১৭ মার্চ আরটিভিতে ‘এবং পূর্ণিমা’ নামের একটি অনুষ্ঠানটি প্রচার হয়। মিশা সওদাগর ও পূর্ণিমার ধর্ষণ নিয়ে এমন ‘হাস্য-রসাত্মক’ আলাপের ভিডিও প্রকাশ হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
সবাই যখন গালাগাল করছে। সেই সময় নিজেদের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন পূর্ণিমা ও এই অনুষ্ঠানের প্রযোজক। পূর্ণিমা বলেন, ‘আমি যদি কোনো ভুল বা অন্যায় করে থাকি বা কারও মনে আঘাত করে থাকি আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি কাউকে আঘাত করার জন্য, কাউকে নিচু করার জন্য বা বিষয়টি নিয়ে হাস্যকর কোনো কিছু করার জন্য কাজটা করিনি। আমি যখনই এ ধরনের (ধর্ষণের) সংবাদ দেখি তখন আমার চোখ দিয়ে পানি আসে। আমি নিজেও একজন নারী। আমার সন্তান আছে। আমিও বাকিদের কথা চিন্তা করি। এরপর থেকে আমি সাবধানেই কথা বলব।’
Advertisement
মিশা সওদাগর বলেন, ‘এসব স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় প্রশ্নকর্তারও সচেতন থাকা উচিৎ। আমাদের অনেক মানুষ ফলো করে। আমাদের আচরণ ও কথায় কেউ যেনো বিপদগামী না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ।’
অনুষ্ঠানটির প্রযোজক সোহেল রানা বিদ্যুৎ বলেন, ‘আমি স্বীকার করি অকপটে, আমাকে আরেকটু সংযত হওয়া উচিৎ ছিল কিংবা দৃশ্যটুকু কেটে বাদ দিতে পারতাম। সেই জায়গা থেকে আমার একটু ভুল হয়ে গেছে হয়তো বা। দর্শকদের উস্কে দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমাদের কাজ দর্শকদের বিনোদন দেওয়া পরবর্তীতে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে অবশ্যই আমি সতর্ক থাকব।’
এমএবি/এলএ/আরআইপি
Advertisement