মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। শুধু তা-ই নয়, আল্লাহ তাআলা মানুষকে অনেক ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন। কোনো মানুষ জাহান্নামে নিপতিত হোক এটা মহান প্রভুও চান না। আর এ কারণেই আল্লাহ কুরআনে পাকে জাহান্নামের ভয়বহতা ও বিপদাপদের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করেছেন।
Advertisement
আল্লাহ বলেন, ‘এটা কিছুতেই উচিত নয়, নিশ্চয় পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জিনে আছে। (৮৩:৭) যে সব কাজে মানুষ চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে অবস্থান করবে, সে বিষয়টি আল্লাহ তাআলা মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে দুনিয়াতেই জানিয়ে দিয়েছেন; যাতে মানুষ এ সব কাজ থেকে বিরত থাকে। কারণ আল্লাহ তাআলা চান না যে, তার প্রিয়সৃষ্টি মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী হোক।
তাদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ মুনাফেক নারী-পুরুষ এবং কাফেরদের জন্য দোজখের আগুনের ওয়াদা করেছেন। তারা তাতে চিরকাল পড়ে থাকবে। সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। আর আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন, তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী আজাব।’ (৯:৬৮)
মানুষ যাতে জাহান্নামি না হয়; সে জন্য জাহান্নামি ব্যক্তিদের কাজ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না, যে আল্লাহর সঙ্গে (অন্যকে) শরিক করে। তিনি ক্ষমা করবেন এর চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের অপরাধ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।’ (৪:৪৮)
Advertisement
আল্লাহর প্রিয়সৃষ্টি মানুষ যেন জাহান্নামের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি না হয়, চিরস্থায়ী শাস্তি ও আজাবের স্থান জাহান্নামে না যায়, সে কারণে জাহান্নামি কর্মকাণ্ডগুলো সুস্পষ্ট ভাষায় কুরআনে পাকে ঘোষণা করেছেন।
মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দেয়ার জন্য যুগে যুগে অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ যেন পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কঠিন শাস্তির মুখোমুখি না হয়।
কেননা আল্লাহ তাআলা অবিশ্বাসী কাফের, মুশরেক, আকিদায় কপট মুনাফেকদের জন্য চিরস্থায়ী জাহান্নাম নির্ধারণ করেছেন।
আর তাওহিদপন্থী তথা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী পাপী, অপরাধীরা আল্লাহর ইচ্ছাধীন থাকবে। তিনি চাইলে তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন অথবা পাপ বা অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করে জান্নাত দান করবেন।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাহান্নামে যাওয়ার যাবতীয় কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। কুরআনে বিধি-বিধান যথাযথ পালনের মাধ্যমে চিরস্থায়ী শান্তি ও প্রতিদানের স্থান জান্নাতের অধিবাসী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম