গত কয়েক বছর গম চাষে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে এবং মসুর ডাল চাষে স্ট্রেইন থাইলিয়ান বিলাইড নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার হাইব্রিড ভুট্টা চাষের প্রতি ঝুঁকেছেন শার্শার চাষিরা।
Advertisement
কম খরচে ভুট্টা চাষে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় শার্শার কৃষকদের মুখে হাসি। প্রতি বছর শার্শায় ভুট্টার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভুট্টা অর্থকারী ফসল না হলেও গম ও মসুর ডাল চাষ করে যে লাভ পেতেন হাইব্রিড ভুট্টা চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে গম ও মসুর ডালে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেক্ষেত্রে ভুট্টা চাষে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনো প্রভাব পড়ে না। ফলে চাষিরা তাদের ব্যক্তিগত ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভুট্টা চাষ করেছেন।
উপজেলার রাজনগর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুখেন্দু কুমার মন্ডল বলেন, প্রতি বছর ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয় গম। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চাষিদের গম চাষ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভুট্টা চাষে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে খরচ কম লাভ বেশি। এবার শার্শায় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে।
Advertisement
রাজনগর গ্রামের চাষি একসের আলী বলেন, প্রতি বছর ৫ বিঘা জমিতে গম চাষ করি। কিন্তু ব্লাস্ট রোগের কারণে গম চাষ ছেড়ে কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার ৫ বিঘা জমিতে হাইব্রিড ভুট্টার চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিরক কুমার জানান, চলতি বছরে শার্শায় ৮শ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টার চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫-৪০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিঘা প্রতি সেচ, সার ও আগাছা দমন খরচ ৬-৮ হাজার টাকা। ৩ মাসের মধ্যে ভুট্টা কাটতে পারে চাষিরা। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদে চাষিদের আয় ২০-২২ হাজার টাকা। এছাড়া গমে বিঘা প্রতি ১০-১২ মণ উৎপাদন ও মসুর ডাল ৭-৮ মণ উৎপাদন হলেও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছে চাষিরা। ফলে শার্শা উপজেলায় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে।
মো. জামাল হোসেন/এএম/আরআইপি
Advertisement