যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গত ৩০ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
Advertisement
ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিভীষিকাময় রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে পাকিস্তানি বাহিনীর নারকীয় হামলায় নিহত সকল শহীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা সভা এবং মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টারি ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ’ প্রদর্শন ও নৈশভোজের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।
কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাহবুবুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা রিয়াজুল হাসনাত রুবেল।
Advertisement
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান,সহসভাপতি জাহিদ বাবু, যুগ্ম সম্পাদক নাইম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম টিটু, সফিউল সাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার সাইদুর রহমান, ডেনমার্ক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম রনিসহ ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ, ডেনমার্ক যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মাস। এ মাস বাঙালি জাতির গৌরবের মাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের মাস। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বাংলার বুকে আসেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার জন্ম না হলে হয়তো বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না। যার বজ্রকণ্ঠের ভাষণ শুনে সাত কোটি বাঙালির বুকে সাহস এসেছে, তার সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মাসও এ মার্চ। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম।
বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের মাধ্যমে সেদিন নিরস্ত্র বাঙালির বুকেও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়ে বেশি সাহস এসেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা যে গৌরববোধ করি, এ গৌরব অর্জনের পেছনে দীর্ঘদিনের সংগ্রাম এবং ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিদ্যমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আনু মিয়া, ওমর হুসাইন খোকন, আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ শোহেব, মোহাম্মদ পলাশ, তাজবির আহমেদ, মোসাদ্দিকুর রহমান রাসেল, রাজু আহম্মদ, মোহাম্মদ আশরাফ ফরাদ, মশিউর রহমান শাওন, রনি, ওমর, আমির জীবন, ফজলে রাব্বি, সামসুল আলম, সোহেল আহমেদ, সাফায়েত অন্তর ও শামীম খান।
Advertisement
সফিউল সাফি/এমএআর/জেআইএম