দুনিয়াতে জিকির বা আল্লাহর স্মরণ হলো সবচেয়ে বড় ইবাদত। যে ব্যক্তি সব সময় আল্লাহর জিকিরে নিয়োজিত থাকে, তার দ্বারা গোনাহ করা সম্ভব হয় না। আর কোনো কারণে গোনাহ হয়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর স্মরণ তাকে গোনাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকের অনেক জায়গায় জিকিরের নির্দেশ, নসিহত ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তাআলার সে সব নির্দেশ, নসিহত ও ফজিলতের কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো-
>> অতঃপর তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং আমার নেয়ামতে অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫২)
>> ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৪১)
Advertisement
>> ‘আর আল্লাহকে অধিক মাত্রায় স্মরণকারী নারী ও পুরুষ, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা প্রতিদান নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৩৫)
>> ‘তোমার প্রভুকে স্মরণ কর মনের মধ্যে দ্বীনতার সাথে ও ভীতি সহকারে এবং উচ্চ আওয়াজের পরিবর্তে নিচু স্বরে, সকাল-সন্ধ্যায় (সর্বক্ষণ) আর তোমরা উদাসীনদের (অজ্ঞদের) অন্তর্ভূক্ত হয়ো না।’ (সুরা আ’রাফ : আয়াত ২০৫)
উল্লেখিত আয়াতে কারীমার আলোকে বুঝায় যায়, আল্লাহ তাআলা বান্দাদের কাছ থেকে সব সময় তার স্মরণ ও গুণগান পছন্দ করেন। যার কারণে তিনি তাদের গোনাহ মাফ এবং মহা প্রতিদান দানের নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনে জারিকৃত বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে তার স্মরণ এবং তাঁর সুন্দর সুন্দর নামের মাধ্যমে জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল আদায় করার তাওফিক দান করুন। জিকিরের মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ ও সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/পিআর