আন্তর্জাতিক

প্রিন্সের ভাতা কমালো বেলজিয়াম পার্লামেন্ট

চীনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কারণে বেলজিয়ামের প্রিন্স লরেন্টের মাসিক ভাতা ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। আগামী এক বছর তাকে কম ভাতা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এ বিষয়ে বেলজিয়ামের পার্লামেন্ট প্রিন্সের আবেগঘন চিঠিকেও আমলে নেয়নি।

Advertisement

গত বছর সরকারের অনুমতি না নিয়ে প্রিন্স লরেন্ট সামরিক পোশাকে চীনা দূতাবাসের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেই ছবি তিনি নিজে টুইট করেন।

ওই অনুষ্ঠানটি ছিল চীনা সেনাবাহিনীর ৯০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সরকারের অনুমতি ছাড়া এ ধরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে না জড়ানোর জন্য প্রিন্সকে সতর্ক করেছিলেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী।

এরপরও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় প্রিন্সের ভাতা কমানোর প্রস্তাব পার্লমেন্টে উত্থাপন করেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল। আইনপ্রণেতারা ১৫ শতাংশ ভাতা কমানোর প্রস্তাব পাস করেছেন। এই জরিমানার ফলে প্রিন্স লরেন্টের বার্ষিক ভাতা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ডলার থেকে কমে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

প্রিন্স লরেন্ট বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপের ছোট ভাই। ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে তিনি পার্লামেন্টকে একটি চিঠি লিখেন। তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে লিখেছিলেন, একটা ছোট ঘটনা নিয়ে ভোটে আইনপ্রণেতারা আমার বিপক্ষে অবস্থান নিলে, সেটা আমার জীবনের জন্য বড় আঘাত হবে।

রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় তিনি তার জীবনের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলোকেও আবেগ জড়িয়ে তুলে ধরেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় জীবিকা নির্বাহে তিনি কোন চাকরিও করতে পারেন না। এটা তার স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টাকে বাধা দিয়েছে।

একেবারে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন যে, বিয়ে করার জন্য তাকে অনুমতি নিতে হয়। নিজের পছন্দের নারীকে বিয়ে করার জন্য এখনও তাকে মাশুল দিতে হচ্ছে। কিন্তু আবেগে ভরা ওই চিঠিকে আমলে নেয়নি বেলজিয়ামের পার্লামেন্ট।

আসলে তিনি এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। বেলজিয়ামে তিনি প্রিন্স মাউডিট নামে পরিচিত। গাদ্দাফি বেঁচে থাকতে লিবিয়ায় এক বৈঠকে যোগ দিয়ে প্রিন্স লরেন্ট সমালোচিত হয়েছিলেন। ২০১১ সালে তিনি সরকারের অনুমতি ছাড়া বেলজিয়ামের সাবেক উপনিবেশ কঙ্গোতে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন।

Advertisement

টিটিএন/এমএস